
সুনীল ছেত্রী ফিরে আসার পর মালদ্বীপকে হারালেও এএফসি কোয়ালিফায়ার ম্যাচে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে গোল শূন্য ড্র করলো ভারত। ১৯৯৯-এর পর এই প্রথম দুই দলের মধ্যে ম্যাচের ফল হল ০-০।
বাছাই পর্বের গ্রুপ ‘সি’-তে থাকা অন্য দুই দল হংকং ও সিঙ্গাপুর-ও এদিন গোলশূন্য ড্র করে। ফলে গ্রুপের প্রতিটি দলই একই জায়গায় রয়ে গেল। ভারত সরাসরি ২০২৭ সালের এএফসি এশিয়ান কাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করতে পারেনি। ফলে বাছাই পর্বের মাধ্যমেই ভারতকে টিকিট নিশ্চিত করতে হবে।
ঘরের মাঠে আটকে গিয়ে চাপেই পড়ল ভারত। ম্যাচে ভারত একাধিক গোলের সুযোগ মিস করে। ম্যাচের ১২মিনিটে ভারতের গোলকিপার বিশাল কাইথ একটি বড় ভুল করেন। তিনি বলে শট নেন কিন্তু বল গিয়ে লাগে প্রতিপক্ষ ফুটবলারের গায়ে। সেখান থেকে ভারতের বক্সের মধ্যেই বল পান বাংলাদেশের ফুটবলার। কিন্তু শুভাশিস বসুর অনবদ্য গোল লাইন সেভের কারণে লিড নিতে পারেনি বাংলাদেশ।
৩১ মিনিটে লিস্টন কোলাসোর বামদিক থেকে ক্রস করা বলে উদান্ত সিংহ হেড নেন, কিন্তু বাংলাদেশের গোলকিপার মিতুল চমৎকার সেভ করে দলকে বিপদমুক্ত করেন।
বাংলাদেশের ফুটবলাররা একের পর এক আক্রমণ করতে থাকেন। রাহুল ভেকে এবং বিশাল কাইথের বোঝাপড়ার ভুলে গোল হজম করতে হলেও অবাক হওয়ার কিছু ছিল না। গোটা ম্যাচে একাধিক ভুল করেন বিশাল। তাঁকে কিছুটা চিন্তিতও লাগছিল। ভারতের ভুলে প্রথমার্ধেই বাংলাদেশ ৩-০ গোলে লিড নিতে পারত। তবে হামজা চৌধুরীকে প্রথম ৪৫ মিনিট খুব একটা চোখে পড়েনি।
দ্বিতীয়ার্ধে বেশ নজরকাড়া ফুটবল খেললেন হামজা। তাঁকে নিয়ে কেন এত চর্চা হচ্ছিল তা বোঝালেন তিনি। সুনীল ছেত্রীকে গোল করার একটুও সুযোগ দেননি তিনি। ৬৮ মিনিটে শুভাশিস বসু দূরপাল্লার একটি শট নেন, যা বাংলাদেশের গোলকিপারকে পরাস্ত করলেও পোস্টের বাইরে চলে যায়। এরপর সুনীল ছেত্রীও গোলের সুযোগ মিস করেন।
দলের খেলায় একদম খুশি নন ভারতীয় দলের হেড কোচ। তিনি বলেন, ভাগ্য ভালো যে একটাও গোল হজম করতে হয়নি। দলের এমন খারাপ খেলা খুবই কম দেখেছি। এককথায় জঘন্য খেলেছে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন