

ভারতীয় ফুটবল অন্ধকারে। কবে আইএসএল হবে কেউ জানে না। ফেডারেশন কর্তারা কী করছেন, তাও জানা জানা নেই কারোর। এই অবস্থায় চিন্তিত ইস্টবেঙ্গল ক্লাব। লাল-হলুদ ব্রিগেড এবার আইএসএল নিয়ে অনিশ্চয়তা দূর করার জন্য প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপের দাবি জানিয়েছে।
ক্লাব সভাপতি মুরারি লাল লোহিয়া ভারতের ক্লাবগুলোর সঙ্কটের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি লেখেন। চিঠিতে ক্লাব কর্তৃপক্ষ জানান, '১০৬ বছরের পুরনো প্রতিষ্ঠান এবং ভারতের সবচেয়ে সুসজ্জিত ক্লাবগুলির মধ্যে একটি ইস্টবেঙ্গল ক্লাব। চারটি আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট জয়ী একমাত্র ভারতীয় ক্লাব হিসেবে ইস্টবেঙ্গল ঐতিহ্য, শ্রেষ্ঠত্ব এবং আকাঙ্ক্ষার প্রতীক হিসেবে দাঁড়িয়ে আছে। এটি মূলত ভারত এবং বিশ্বজুড়ে বসবাসকারী বাঙালি সম্প্রদায়ের সদস্যদের নিয়ে গঠিত, যাদের ফুটবলের প্রতি আবেগ চলমান চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও উজ্জ্বলভাবে জ্বলছে"।
তিনি আরও লেখেন, "মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, আপনি আমাদের দেশের অভিভাবক। আপনার অনুপ্রেরণামূলক নেতৃত্বে ভারত সকল ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করছে এবং একটি বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক শক্তি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে। খেলো ইন্ডিয়া, ফিট ইন্ডিয়ার মতো দেশব্যাপী ক্রীড়া পরিকাঠামো সম্প্রসারণের মতো উদ্যোগের মাধ্যমে খেলাধূলা, ফিটনেস এবং যুব ক্ষমতায়নের উপর আপনার গুরুত্ব আমাদের দেশের ক্রীড়া দৃশ্যপটকে বদলে দিয়েছে। আপনার দৃষ্টিভঙ্গি এবং জাতীয় উন্নয়নের প্রতি অঙ্গীকারের প্রতি গভীর বিশ্বাস রেখেই আমরা ভারতীয় ফুটবলের সংকট মোকাবিলায় আপনার হস্তক্ষেপের জন্য বিনীতভাবে অনুরোধ করলাম।'
এখন দেখার প্রধানমন্ত্রী এই বিষয়ে হস্তক্ষেপ করে কী উদ্যোগ নেন। কিছুদিন আগে ইস্টবেঙ্গল শীর্ষকর্তা দেবব্রত সরকার ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডকে ভারতীয় ফুটবল দলের স্পনসর হওয়ার অনুরোধ করেন।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন