

খেলা ছাড়ার ২ দশক পরে পদ্মশ্রী পেলেন আই এম বিজয়ন। নবম ভারতীয় ফুটবলার হিসেবে এই সম্মান পেলেন বিজয়ন। এর আগে গোষ্ঠ পাল, শৈলেন মান্না, চুনি গোস্বামী, পিকে ব্যানার্জি, ভাইচুং ভুটিয়া, সুনীল ছেত্রী, বেম্বেম দেবী এবং ব্রহ্মানন্দ শঙ্খওয়ালকার পদ্মশ্রী সম্মান অর্জন করেছিলেন।
ভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনকে বিজয়ন বলেন, "আমি আমার পুরস্কার দেশের প্রতিটি ফুটবল ভক্তকে উৎসর্গ করছি। আজ আমি যা হয়েছি তাদের কারণেই। আমি নিশ্চিত নই যে আমি একজন ফুটবলার হিসেবে কতটা ভালো ছিলাম। কিন্তু ভক্তদের কাছ থেকে যে ভালোবাসা পেয়েছি তা ছিল আমার জীবনের সবচেয়ে বড় পাওনা"।
১৯৯১ সালে জাতীয় দলের হয়ে অভিষেক হয় বিজয়নের এবং গর্বের সাথে ১২ বছর ধরে দেশের প্রতিনিধিত্ব করেন। তিনি ২০০০ থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত দলের অধিনায়কত্ব করেন। জাতীয় দলের হয়ে ৮৮টি ম্যাচে ৩৯টি গোল করেছেন।
বিজয়ন ১৯৯৯ সাফ গেমসে ভুটানের বিরুদ্ধে মাত্র ১২ সেকেন্ডে দ্রুততম (অন্যতম) আন্তর্জাতিক গোল করেছিলেন। তিনিই কেরালার প্রথম ফুটবলার যিনি অর্জুন পুরস্কার পান। তিনি ১৯৯৩, ১৯৯৭ এবং ১৯৯৯ সালে বর্ষসেরা ফুটবলারের সম্মান লাভ করেন। বিজয়ন নেহরু কাপ, প্রি-অলিম্পিক, প্রি-ওয়ার্ল্ড কাপ, সাফ কাপ এবং এসএএফ গেমসের মতো বিভিন্ন টুর্নামেন্টে জাতীয় দলের নেতৃত্ব দিয়েছেন।
বিজয়ন ছাড়াও অবসরের পর পদ্মভূষণ সম্মান পেলেন ক্রিকেটার রবিচন্দ্রন অশ্বিন এবং হকি তারকা পি আর শ্রীজেশ। এছাড়াও পদ্মশ্রী পেলেন প্যারালিম্পিক্সে সোনাজয়ী হরবিন্দর সিং ও কুস্তিগির কোচ সত্যপাল সিং।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন