
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির শেষেই নাকি অবসর নেবেন রোহিত শর্মা। এমনটাই জল্পনা চলছিল। কিন্তু দেশকে ফের একবার চ্যাম্পিয়ন করে অবসরের জল্পনা ওড়ালেন রোহিত নিজেই।
নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে ভারতকে তৃতীয় চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি দিলেন রোহিত শর্মা। ম্যাচের সেরাও হন তিনি। ৮৩ বলে ৭৬ রানের অসাধারণ ইনিংস খেলেন তিনি। ম্যাচ শেষে সাংবাদিক সম্মেলনে রোহিত বলেন, 'আমি এই ফরম্যাট থেকে অবসর নিচ্ছি না। ভবিষ্যতে আর যাতে আমার অবসর নিয়ে গুজব না ছড়ায় সেই কারণেই বললাম। ভবিষ্যতে আমার কোনও পরিকল্পনা নেই। যেমন চলছে চলবে'।
দেশকে জেতানোর পাশাপাশি একাধিক রেকর্ডও গড়েন রোহিত। তিনিই একমাত্র অধিনায়ক যিনি গোটা টুর্নামেন্টে একটিও টস না জিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন। এছাড়া রোহিত শর্মা চতুর্থ অধিনায়ক যিনি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালে ৫০ বা তার বেশি রান করেছেন। এই তালিকায় প্রথমে আছেন সৌরভ গাঙ্গুলি। ২০০০ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে তিনি নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ১১৭ রান করেছিলেন। ২০০২ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালে শ্রীলঙ্কার সন্ত জয়সূর্য ভারতের বিরুদ্ধে ৭৪ রান করেছিলেন। ১৯৯৮ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে দক্ষিণ আফ্রিকার হ্যান্সি ক্রোনিয়ে ৬১ রানে অপরাজিত ছিলেন।
পাশাপাশি রোহিত শর্মা অধিনায়ক হিসেবে একদিনের ক্রিকেটে ২৫০০ রানের মাইলফলক স্পর্শ করেন। ভারতকে জেতানোর পাশাপাশি ভাঙলেন প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনির রেকর্ড। ২০১৩ সালে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জয় থেকে ২০১৪ সালের টি-২০ বিশ্বকাপ ফাইনালের আগে পর্যন্ত আইসিসি ইভেন্টে ধোনির নেতৃত্বাধীন ভারত টানা ১২টি ম্যাচ জিতেছিল। আর ২০২৩ সালে ওয়ান ডে বিশ্বকাপ হারের পর থেকে ২০২৪ টি-২০ বিশ্বকাপ এবং ২০২৫ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনাল পর্যন্ত আইসিসি টুর্নামেন্টে সবকটি ম্যাচ জিতেছে রোহিতের নেতৃত্বে থাকা ভারত (টেস্ট ম্যাচ বাদ দিয়ে)।
এর আগে অস্ট্রেলিয়ার কাছে বর্ডার গাভাসকর ট্রফিতে হারের পরও রোহিত শর্মার অবসরের জল্পনা উঠেছিল। সেই সময়ও তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দেন, অবসর নেবেন না। তিনি বলেছিলেন, "অনেকেই আছে ল্যাপটপ, পেন নিয়ে যা খুশি লিখছে, যা ইচ্ছা বলছে তাতে আমি গুরুত্ব দিই না। বহু দিন ধরে ম্যাচ খেলছি দেশের হয়ে। দুটো বাচ্চার বাবা আমি। যথেষ্ট পরিণত। বুদ্ধি আছে। কখন কী করতে হবে সেটা জানি আমি"।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন