
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি) খেলার শর্তাবলীতে বড় ধরনের পরিবর্তনের ঘোষণা করেছে। টেস্ট, ওয়ানডে এবং টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে একাধিক নতুন নিয়ম এনেছে আইসিসি। ২০২৫ সালের অক্টোবর পর্যন্ত পরীক্ষামূলকভাবে চালু থাকবে। ১৭ জুন শ্রীলঙ্কা ও বাংলাদেশের মধ্যকার টেস্ট ম্যাচ থেকে এই নিয়মগুলোর বাস্তবায়ন শুরু হয়েছে।
সৌরভ গাঙ্গুলির নেতৃত্বাধীন আইসিসি পুরুষ ক্রিকেট কমিটির সদস্যরা, যাঁরা সম্মিলিতভাবে ২০০০টিরও বেশি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছেন, এই নিয়মগুলোর সুপারিশ করেন।
ওয়ানডেতে বল ব্যবহারের নতুন নিয়ম
ওয়ানডে ক্রিকেটে প্রথম ৩৪ ওভারে দুটি নতুন বল ব্যবহৃত হবে। এরপর ফিল্ডিং দল বাকি ১৬ ওভারের জন্য একটি বল বেছে নেবে। এটি ইনিংসের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
টেস্টে ‘স্টপ ক্লক’ প্রবর্তন
সাদা বলের ক্রিকেটে সফল প্রয়োগের পর এবার টেস্ট ম্যাচেও চালু হয়েছে স্টপ ক্লক। প্রতি ওভার শেষে পরবর্তী ওভারের প্রথম বল করার জন্য বোলিং দলকে ৬০ সেকেন্ড সময় দেওয়া হবে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বল না করলে প্রথমে সতর্কতা দেওয়া হবে। একই নিয়ম যদি তৃতীয়বার লঙ্ঘন করে তাহলে পাঁচ রান জরিমানা করা হবে বোলিং টিমকে। নতুন বল নেওয়ার ৮০ ওভারের পর এই নিয়ম রিসেট হবে।
বাউন্ডারি ক্যাচের নতুন নিয়ম
ফিল্ডারদের ক্ষেত্রে বাউন্ডারির বাইরে বল ধরার নিয়মও পরিবর্তিত হয়েছে। এখন কেউ বলের সাথে হাতের বা শরীরের যে কোনও অংশের সংস্পর্শের পর সীমানার বাইরে বাতাসে থাকাকালীন কেবল একবার বল স্পর্শ করতে পারবেন এবং পরে সম্পূর্ণভাবে সীমানার ভেতরে এসে ক্যাচ ধরতে হবে।
ইচ্ছাকৃত শর্ট রান ও স্ট্রাইক নির্বাচন
যদি ব্যাটসম্যান ইচ্ছাকৃতভাবে শর্ট রান নেন অর্থাৎ ক্রিজ কভার না করেন তাহলে পাঁচ রান জরিমানা হবে। পাশাপাশি ফিল্ডিং দল সিদ্ধান্ত নেবে পরবর্তী ডেলিভারিতে কে স্ট্রাইক নেবে।
ডিআরএস উইকেট জোনে পরিবর্তন
ডিআরএস প্রযুক্তিতে এখন ‘উইকেট জোন’ বিবেচনায় স্টাম্প ও বেইলের আসল গঠন নেওয়া হবে। এটি এলবিডব্লিউ সিদ্ধান্ত আরও নিখুঁত করতে সহায়ক হবে।
কনকাশন প্রোটোকলে নতুন নিয়ম
কনকাশনের ক্ষেত্রে, খেলোয়াড়কে কমপক্ষে ৭ দিন বিশ্রামে থাকতে হবে এবং প্রতিস্থাপন খেলোয়াড় আগেভাগে নির্ধারিত থাকবে। এতে হোম টিমের অতিরিক্ত সুবিধা কমে যাবে।
অতিরিক্ত পরীক্ষামূলক নিয়ম
২০২৫ সালের অক্টোবর থেকে আরও কিছু নিয়ম পরীক্ষামূলকভাবে চালু হবে, যার মধ্যে রয়েছে:
বদলি খেলোয়াড়: গুরুতর ইনজুরির ক্ষেত্রে যেকোনো সময় একজন লাইক-ফর-লাইক খেলোয়াড় পরিবর্তে অংশ নিতে পারবেন।
ওয়াইড বল ট্রায়াল (ওডিআই ও টি-২০ ক্রিকেট) : ব্যাটসম্যানের চলাফেরার ভিত্তিতে ওয়াইড বল নির্ধারণে নতুন দৃষ্টিভঙ্গি প্রয়োগ করা হবে। অফ-সাইডে সরলেও, পায়ের অবস্থান হবে রেফারেন্স পয়েন্ট।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন