

দু’পক্ষেই যেমন নতুন অতিথির আগমনে আনন্দের বাতাবরণ, তেমনই দু’পক্ষেই রয়েছে ঘরের ছেলের বিদায়ের যন্ত্রণাও। মোহনবাগানের কাছে যেমন ছিলেন প্রীতম কোটাল, যাঁকে বিদায় দেওয়ার সময় আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েছেন সবুজ-মেরুন জনতা, তেমনই মন খারাপ কেরালা ব্লাস্টার্স সমর্থকদেরও। গত ছ’মরশুম ধরে যিনি ছিলেন তাঁদের চোখের মণি, প্রীতমের মতোই যিনি হয়ে উঠেছিলেন হলুদ বাহিনীর ঘরের ছেলে, সেই সহাল আব্দুল সামাদকে বিদায় দিতে কার্যত দুঃখে ভেঙে পড়েন কেরালা সমর্থকরা।
কিন্তু এই ঘটনা আসলে তাঁদের ইচ্ছা-অনিচ্ছার ওপর নির্ভরশীল ছিল না। নিজেদের দল গোছাতেই যে যার ঘরের ছেলেকে একে অন্যের হাতে তুলে দেয় দেশের দুই প্রান্তের দুই ক্লাব। মোহনবাগানে যোগ দেওয়ার পর সহাল বলেন, “এবার মোহনবাগান দলটা আন্তর্জাতিক মঞ্চে সাফল্য পাওয়ার জন্য তৈরি হয়েছে। তাদের এই ভাবনা ও সাফল্যের সঙ্গী হতে চাই আমি। কখনও এএফসি কাপে খেলার সুযোগ হয়নি। আশা করি, এবার সেই স্বপ্নও পূরণ হবে। আমার লক্ষ্য থাকবে দলকে এএফসি কাপে চ্যাম্পিয়ন হতে সাহায্য করা”।
গত ছ’বছর ধরে যে সমর্থন তিনি পেয়েছেন ক্লাব ও সমর্থকদের কাছ থেকে, তা যে কখনও ভুলতে পারবেন না, তা স্বীকার করে নেন সহাল। তিনি এক বার্তায় বলেন, "সতীর্থরা, যাঁরা ক্রমশ আমার ভাই, দাদা, পরিবার হয়ে উঠেছেন এবং স্টাফ, তাদের প্রত্যেককে ধন্যবাদ। বিশেষ করে মানিয়াপ্পাড়াদের (সমর্থকেরা), যাঁরা আমাকে আমার রিজার্ভ টিমে খেলার দিন থেকে সমর্থন করে আসছেন, তাঁদের ধন্যবাদ। সমর্থকদের খুব মিস করব। প্রত্যেকেই আমার হৃদয়ে থাকবেন। আশা করি, আমার প্রতি এই ভালোবাসা ও সমর্থন চিরকাল থাকবে। সাধারণত, বেশি কথা আমি বলি না। কিন্তু এই কথাগুলো না বললে নয় বলেই এই ভিডিও পোস্ট করলাম”।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন