
মহিলা ফুটবলে নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করলেন কানাডার অলিভিয়া স্মিথ (Olivia Smith)। মাত্র ২০ বছর বয়সে লিভারপুল থেকে আর্সেনালে যোগ দিয়ে তিনি হয়ে উঠেছেন বিশ্বের সবচেয়ে দামি মহিলা ফুটবলার। ১ মিলিয়ন পাউন্ড (ভারতীয় মুদ্রায় সাড়ে ১১ কোটি টাকার বেশি) রেকর্ড ট্রান্সফার ফি-তে স্মিথের এই স্থানান্তর অতীতের সব রেকর্ডকে ছাপিয়ে গেছে।
এর আগে ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে যুক্তরাষ্ট্রের নাওমি গিরমা (Naomi Girma) সান দিয়েগো ওয়েভ থেকে চেলসিতে যোগ দিয়েছিলেন ৯ লক্ষ পাউন্ডে (ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় সাড়ে ১০ কোটি টাকা), যা ছিল মহিলা ফুটবলের সর্বোচ্চ ট্রান্সফার ফি। সেই রেকর্ডই ভেঙে দিলেন তরুণ এই কানাডিয়ান ফরোয়ার্ড।
আর্সেনালের মহিলা ফুটবল পরিচালক ক্লেয়ার হুইটলি বলেন, “স্মিথ ফুটবলের সবচেয়ে প্রতিভাবান তরুণ খেলোয়াড়দের একজন এবং ক্লাবে আরও উন্নয়নের জন্য তাঁর বিশাল সম্ভাবনা রয়েছে।” জানা গেছে, স্মিথ আর্সেনালের সঙ্গে চার বছরের একটি দীর্ঘমেয়াদি চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছেন।
স্মিথের এই চুক্তি মহিলা ফুটবলে ক্রমবর্ধমান বিনিয়োগ ও বাণিজ্যিক আকর্ষণের প্রতিফলন বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। মাত্র কয়েক বছর আগেও মহিলা ফুটবলে এত উচ্চ মূল্যের ট্রান্সফার ছিল অকল্পনীয়। ২০২০ সালে ডেনমার্কের পার্নিল হার্ডার ৩৫৫,০০০ ডলারে চেলসিতে যোগ দিয়ে তখনকার সর্বোচ্চ মূল্যবান খেলোয়াড় হয়েছিলেন। এরপর কেইরা ওয়ালশ ও মায়রা রামিরেজের মতো খেলোয়াড়েরা একাধিকবার এই রেকর্ড ভেঙেছেন।
অলিভিয়া স্মিথের ফুটবল যাত্রা শুরু হয় মাত্র ১৫ বছর বয়সে কানাডার জাতীয় দলে অভিষেকের মাধ্যমে। তিনি দেশের সবচেয়ে কমবয়সী আন্তর্জাতিক খেলোয়াড় হিসেবে নজর কাড়েন। ২০২৩ সালে স্পোর্টিং লিসবনের হয়ে ২৮ ম্যাচে ১৬টি গোল করেন স্মিথ। এরপর লিভারপুলে এসে ২৫ ম্যাচে ৯ গোল করে নিজের জাত চেনান।
আর্সেনালের প্রধান কোচ রেনি স্লেগার্স বলেন, “অলিভিয়া একজন অসাধারণ তরুণ খেলোয়াড় এবং আমরা বিশ্বাস করি যে তিনি আর্সেনালে বড় অবদান রাখতে পারেন। আমরা তাঁর মানসিকতা এবং দৃঢ়তা দেখে মুগ্ধ।”
নতুন দলে যোগ দিয়ে স্মিথ বলেন, “ইংল্যান্ড এবং ইউরোপের সবচেয়ে বড় শিরোপার জন্য প্রতিযোগিতা করা আমার স্বপ্ন। আর্সেনালের মতো ক্লাবের হয়ে খেলতে পারাটা আমার জন্য দারুণ সম্মান ও সুযোগ।”
তবে পুরুষদের ফুটবলের সাথে তুলনা করলে এই পরিসংখ্যান এখনও অনেক পিছিয়ে। ব্রাজিলিয়ান তারকা নেইমার ২০১৭ সালে ২৬২ মিলিয়ন ডলারে বার্সেলোনা থেকে পিএসজিতে যোগ দিয়েছিলেন। যা ফুটবলের ইতিহাসে এখনও পর্যন্ত সবচেয়ে ব্যয়বহুল ট্রান্সফার।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন