
২৪ বছর পর ইতালিকে হারিয়ে নজির গড়লো নরওয়ে। বিশ্বকাপ যোগ্যতা অর্জন পর্বের ম্যাচে নরওয়ের কাছে ৩-০ গোলে হারতে হয়েছে ইতালিকে। এই জয়ের ফলে গ্রুপের শীর্ষ স্থান ধরে রাখলেন হালান্ডরা।
২০০৫ সালে ইতালিকে ৫-৩ গোলে হারিয়েছিল নরওয়ে। তারপর থেকে ইতালির বিরুদ্ধে একটি ম্যাচেও জয় পাননি হালান্ডরা। শুক্রবার মধ্যরাতে জয় ছিনিয়ে নিল নরওয়ে। বিশ্বকাপ যোগ্যতা অর্জন পর্বের প্রথম ম্যাচেই ধাক্কা খেল ইতালি। গতবারে তারা যোগ্যতা অর্জনেই ব্যর্থ হয়েছিল। যদিও এখনও অনেক ম্যাচ বাকি রয়েছে ইতালির কাছে।
ম্যাচের প্রথম থেকেই আক্রমণাত্মক লাগছিল নরওয়েকে। ১৪ মিনিটে অ্যালেকজান্ডারের গোলে ১-০ গোলে লিড নেয় নরওয়ে। ৩৪ মিনিটে জোরালো শটে অসাধারণ গোল করেন অ্যান্টোনিও নুসা। ৪২ মিনিটে ম্যাচের শেষ গোলটি করেন হালান্ড।
দ্বিতীয়ার্ধে একাধিক সুযোগ নষ্ট করে ইতালি। বার বার নরওয়ের ডিফেন্সের কাছে বাধা পাচ্ছিলেন ডোন্নারুমারা। এই জয়ের ফলে ৩ ম্যাচে ৯ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপের শীর্ষে রয়েছে নরওয়ে। ৩ ম্যাচে ৬ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে ইজরায়েল। সমসংখ্যক ম্যাচ খেলে ৩ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় স্থানে এস্টোনিয়া। বিশ্বকাপ যোগ্যতা অর্জনের জন্য ইতালির কাছে এটাই ছিল প্রথম ম্যাচ। কিন্তু সেই ম্যাচেও ধাক্কা খেল তারা।
শুক্রবার মধ্যরাতে গ্রুপ আই, জে এবং এল-র ম্যাচ ছিল।
গ্রুপ আই - এস্টোনিয়াকে ৩-১ গোলে পরাস্ত করেছে ইজরায়েল। অন্য ম্যাচে ইতালিকে ৩-০ গোলে হারিয়েছে নরওয়ে।
গ্রুপ জে - নর্থ ম্যাসিডোনিয়া বনাম বেলজিয়াম ম্যাচ ১-১ গোলে ড্র হয়েছে। লিচেনস্টাইনকে ৩-০ ব্যবধানে পরাস্ত করেছে ওয়েলস।
গ্রুপ এল - মন্টিনেগ্রোকে ২-০ গোলে হারিয়েছে চেকপ্রজাতন্ত্র। জিব্রাল্টারের বিরুদ্ধে বড় জয়ে পেয়েছে ক্রোয়েশিয়া। ৭-০ গোলে হারতে হয়েছে জিব্রাল্টারকে।
উল্লেখ্য, ইউরোপ থেকে ২০২৬ বিশ্বকাপের জন্য যোগ্যতা অর্জন করবে ১২টি দেশ। ১২টি গ্রুপে মোট ৫৪টি দেশ রয়েছে। প্রথম ৬টি গ্রুপে ৪টি করে দেশ আছে। পরবর্তী ৬টি গ্রুপে ৫টি করে দেশ রয়েছে। প্রত্যেক গ্রুপ থেকে শীর্ষ স্থানে থাকা দেশগুলি বিশ্বকাপের জন্য যোগ্যতা অর্জন করবে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন