কাতার বিশ্বকাপের ম্যাসকট লা'ইব
কাতার বিশ্বকাপের ম্যাসকট লা'ইব ছবি সংগৃহীত

FIFA World Cup 22: এবারের ম্যাসকট লা'ইব, জানুন বিশ্বকাপের ইতিহাসে লা'ইবের পূর্বসুরীদের

১৯৩০ সালে ফুটবল বিশ্বকাপ শুরু হলেও ম্যাসকটের আবির্ভাব ঘটে ১৯৬৬ সালে। ইংল্যান্ড বিশ্বকাপে। ব্রিটিশ সিংহ আর ইউনিয়ন জ্যাকের মিশেলে তৈরি হলো ওয়ার্ল্ড কাপ উইলি।

কাতারে শুরু হচ্ছে ফুটবলের বিশ্বযুদ্ধ। বিশ্বকাপের উন্মাদনা ইতিমধ্যেই ছড়িয়ে পড়েছে কলকাতা থেকে ক্যালিফোর্নিয়ায়। প্রিয় দল, প্রিয় ফুটবলার, গ্রুপ বিন্যাস, সমালোচনার পাশাপাশি এবারের বিশ্বকাপে নজর থাকবে লা'ইব - এর ওপর। লা'ইব, আরবী শব্দ। যার অর্থ হলো দক্ষ খেলোয়াড়। বল নিয়ে আরবের মানুষের মতো পোশাক পরে থাকা লা'ইব কাতার বিশ্বকাপের অফিসিয়াল ম্যাসকট। আজকের প্রতিবেদনে জেনে নেওয়া যাক লা'ইবের পূর্বসুরীদের।

১৯৩০ সালে ফুটবল বিশ্বকাপ শুরু হলেও ম্যাসকটের আবির্ভাব ঘটে ১৯৬৬ সালে। ইংল্যান্ড বিশ্বকাপে। ব্রিটিশ সিংহ আর ইউনিয়ন জ্যাকের মিশেলে তৈরি হলো ওয়ার্ল্ড কাপ উইলি। বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাসকট। ১৯৭০ সালে মেক্সিকো বিশ্বকাপে সামনে এলো জুয়ানিতো। মেক্সিকান টুপি আর জার্সি, বলের ওপর পা রেখে দাঁড়িয়ে মেক্সিকান বালক। বিশ্বকাপের পাশাপাশি বিশ্ব মাতলে ম্যাসকটেও।

 ১৯৭৪ সালে পরের বিশ্বকাপ আয়োজন করলো পশ্চিম জার্মানি। জুয়ানিতোর ভাবনা নিয়েই তৈরি হলো টিপ এন্ড টাপ। দুই বালকের একজনের জার্সিতে লেখা ৭৪। জার্মানির প্রতি শুভেচ্ছা জানিয়ে অন্য জনের জার্সিতে লেখা Wm(ভাইমার)। এরপর বিশ্বকাপের আসর বসলো লাতিন আমেরিকার দেশ আর্জেন্টিনায়। নীল সাদা ডোরা জার্সি আর নীল সাদা বল নিয়ে আকর্ষণ বাড়ালো গাউচিতো।

১৯৮২ স্পেন বিশ্বকাপে ম্যাসকটের ভাবনায় এলো পরিবর্তন। স্পেন বিশ্বকাপের ম্যাসকট ছিল নারাজনিতো অর্থাৎ কমলালেবু। এরপর ১৯৮৬-এর মেক্সিকো বিশ্বকাপে এলো ঝাঁঝালো ফল পিকে। ১৯৯২-এর ইতালি বিশ্বকাপে আবার কনসেপ্ট পরিবর্তন। সামনে এলো গোলপোস্টের মতো তেকাঠি সিয়াও। এরপর ১৯৯৪-এর যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বকাপে এলো স্ট্রাইকার। পাপেটে মজলো বিশ্ব।

গৃহপালিত মোরগ, লাল ঝুঁটি, হাতে ফুটবল। ১৯৯৮-এর ফ্রান্স বিশ্বকাপে এলো ফুটিক্স। ২০০২ সালে জাপান কোরিয়া বিশ্বকাপে কম্পিউটার গ্রাফিক্সের মাধ্যমে প্রথমবারের মতো তৈরি হলো ম্যাসকট। আটো, কান, নিক।

 এরপর ২০০৬ বিশ্বকাপ। আয়োজক দেশ জার্মানি। সিংহের আদলে তৈরি হলো গোলিও সিক্স। পরের বিশ্বকাপ বসলো দক্ষিণ আফ্রিকা। ২০১০-এ অনুষ্ঠিত এই বিশ্বকাপের ম্যাসকট ছিল জাকুমি। কুমি মানে সুন্দর। জাকুমি হলো আফ্রিকান লেপার্ড। ২০১৪ ব্রাজিল বিশ্বকাপে বিলুপ্ত প্রজাতির প্রাণী আরমাদিলোর আদলে সামনে এলো ফুলেকো। শেষবার রাশিয়া বিশ্বকাপের ম্যাসকট ছিল জবাভিকা। ভোটের মাধ্যমে প্রথমবারের মতো বেছে নেওয়া হয় কোনো ম্যাসকটকে। জাবিভাকা হল রুশ ভাষায় পাহাড়ি শেয়াল।

কাতার বিশ্বকাপের ম্যাসকট লা'ইব
FIFA World Cup 22: দেশের জার্সিতে ফুটবলের পাঁচ মহাতারকা, গোল নেই বিশ্বকাপে
কাতার বিশ্বকাপের ম্যাসকট লা'ইব
লিভারপুল কিনছেন মুকেশ আম্বানি!

GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in