

কোস্টারিকাকে গোল বন্যায় ভাসিয়ে বড় জয় তুলে নিয়েছে স্পেন। 'লা রোহা'-রা এই প্রথম প্রতিপক্ষের জালে জড়ালো ৭ গোল। লুইস এনরিকের তারুণ্যে ভরা এই দল নজর কেড়েছে ফুটবল বিশ্বের। স্পেনের ৭ গোলের মধ্যে পঞ্চম গোলটি করেছেন ১৮ বছর বয়সী বার্সেলোনার সেন্ট্রাল মিডফিল্ডার গাভি। বিশ্বকাপের শুরু থেকেই স্পেনের এই তরুণ প্রতিভাকে নিয়ে চলছিলো আলোচনা। গতরাতে তিনি প্রমাণ করলেন কেনো তাঁকে নিয়ে আলোচনা চলছে। স্পেনের সর্বকনিষ্ঠ ফুটবলার হিসেবে বিশ্বকাপে গোল করলেন গাভি। বিশ্বকাপের ইতিহাসে পেলে এবং ম্যানুয়েল রোসেসের পর তৃতীয় সর্বকনিষ্ঠ ফুটবলার হিসেবে গোল করার নজির গড়লেন তিনি।
গাভির জন্ম ২০০৪ সালের ৫ অগস্ট। ১৮ বছর ১১০ দিনের মাথায় বিশ্বকাপে নিজের গোলটি করলেন এই স্প্যানিশ মিডফিল্ডার। বিশ্বকাপে তরুণতম হিসেবে গোল করার রেকর্ড রয়েছে ফুটবল সম্রাট পেলের দখলে। ১৯৫৮-র বিশ্বকাপ ফাইনালে সুইডেনের বিরুদ্ধে গোল করেছিলেন পেলে। তখন তাঁর বয়স ছিল ১৭ বছর ২৪৯ দিন। ১৯৫৮ সালের পর থেকে বিশ্বকাপে গোল করা গাভিই সব থেকে তরুণতম ফুটবলার।
বিশ্বকাপের ইতিহাসে স্পেনের 'গোল্ডেন বয়' তৃতীয় সর্বকনিষ্ঠ গোল স্কোরার। এই তালিকায় প্রথমে রয়েছেন পেলে। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন ম্যানুয়েল রোসেস। ১৯৩০ বিশ্বকাপে ১৮ বছর ৯৩ দিন বয়সে আর্জেন্টিনার বিপক্ষে গোল করেছিলেন এই মেক্সিকান ফুটবলার।
গত রাতে 'স্প্যানিশ আর্মাডা'-র ঝড়ে তছনছ হয়ে যায় কোস্টারিকা। দানি ওলমো, মার্কো অ্যাসেনসিও, ফেরান তোরেসের গোলে ৪-০ ব্যবধানে এগিয়ে ছিল স্পেন। ৭৪ মিনিটের মাথায় আলভারো মোরাতার ক্রস থেকে কোস্টারিকার জাল খুঁজে নেন গাভি। ৯০ মিনিটে ষষ্ঠ গোলটি করেন কার্লোস সোলের। অতিরিক্ত সময়ে শেষ গোলটি আসে আলভারো মোরাতার পা থেকে।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন