
এজবাস্টনে ভারতের বিরুদ্ধে ৩৩৬ রানে লজ্জাজনক পরাজয়ের পর ইংল্যান্ড দল লর্ডস টেস্টে অসাধারণ একটি পিচ চেয়েছে। কারণ এই ম্যাচে ফিরতে পারেন দুই গুরুত্বপূর্ণ পেসার জোফরা আর্চার ও গাস অ্যাটকিনসন। তাঁদের কথা মাথায় রেখেই গতি সহায়ক পিচ চাইছে ইংল্যান্ড দল।
২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে কনুই ও পিঠের ইনজুরিতে জর্জরিত আর্চার অবশেষে দীর্ঘ প্রতীক্ষিত টেস্ট ক্রিকেটে প্রত্যাবর্তনের জন্য প্রস্তুত। অন্যদিকে, হ্যামস্ট্রিং সমস্যার কারণে দ্বিতীয় টেস্ট মিস করা অ্যাটকিনসনকেও এই ম্যাচে দেখা যেতে পারে।
ইংল্যান্ড কোচ ব্রেন্ডন ম্যাককুলাম লর্ডসের উইকেটে বাড়তি গতি, বাউন্স ও মুভমেন্ট চান। গত মাসের বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালে প্যাট কামিন্স ও কাগিসো রাবাডার সাফল্য দেখেই এমনটা দাবি করেছেন তিনি।
ম্যাককুলাম বলেন, “এটা যেভাবেই হোক ব্লকবাস্টার হবে। তবে আমার মনে হয় একটি বিস্ফোরক ম্যাচের জন্য প্রস্তুত থাকবে লর্ডস। বিশেষ করে যদি পিচে প্রচুর প্রাণ থাকে”।
লিডস টেস্টে যেখানে বাউন্স ও ক্যারির সুবিধা পেয়েছিল ইংল্যান্ড, সেখানে এজবাস্টনের ধীরগতির পিচে ভারতের আকাশ দীপ ও মোহাম্মদ সিরাজ অনেক বেশি মুভমেন্ট আদায় করে নিতে সক্ষম হন। যার ফলে সিরিজ এখন ১-১ সমতায় রয়েছে।
প্রসঙ্গত, দ্বিতীয় টেস্ট হেরে এজবাস্টনের পিচ নিয়ে ‘আজব’ দাবি করেছিলেন ইংল্যান্ড অধিনায়ক বেন স্টোকস। তিনি বলেছিলেন, “এই পিচ ধীরে ধীরে উপমহাদেশের উইকেটের মতো আচরণ করেছে। ভারতীয় দলের জন্য এই কন্ডিশন অনেক বেশি সহায়ক হয়ে দাঁড়ায়। প্রথম দিকে কিছুটা সহায়তা থাকলেও ম্যাচ যত এগিয়েছে, তাদের (ইংল্যান্ড) ব্যাটিং করা ততটাই কঠিন হয়ে উঠেছে। ভারতীয় আক্রমণ দারুণভাবে কন্ডিশনের সদ্ব্যবহার করেছে। তারা জানে কিভাবে এই ধরনের উইকেটে খেলতে হয়। এটা তাদের জন্য ছিল অনেকটা ঘরের মাঠের মতো”।
লর্ডস টেস্ট শুরু হবে ১০ জুলাই থেকে। পিচের চরিত্র এবং দুই পেসারের প্রত্যাবর্তনই হতে পারে ম্যাচের মোড় ঘোরানো ফ্যাক্টর।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন