

সুপার কাপের ফাইনালে ইস্টবেঙ্গল। সেমিফাইনালে পাঞ্জাব এফসিকে ৩-১ গোলে হারিয়ে খেতাব জয়ের আরও কাছে লাল-হলুদ ব্রিগেড। ফাইনালে মুম্বই অথবা গোয়ার মুখোমুখি হতে হবে অস্কার ব্রুজোনের ছেলেদের।
বৃহস্পতিবার গোয়ার ফার্তোদা স্টেডিয়ামে পাঞ্জাব এফসির বিপক্ষে নেমেছিল ইস্টবেঙ্গল। চলতি সুপার কাপে প্রথম থেকেই ছন্দে রয়েছে লাল-হলুদ ব্রিগেড। আজ ম্যাচের ১২ মিনিটের মাথায় রাশিদের শটে ১-০ গোলে এগিয়ে যাইয় ইস্টবেঙ্গল। যদিও সেই ব্যবধান বেশিক্ষণ ধরে রাখতে পারেনি লাল-হলুদ ডিফেন্স। কয়েক মিনিটের মধ্যেই পেনাল্টি পায় পাঞ্জাব। গোল করতে কোনও ভুল করেননি দানি রামিরেজ।
প্রথমার্ধের অতিরিক্ত সময়ে হেড দিয়ে গোল করে ইস্টবেঙ্গলকে ২-১ ব্যবধানে লিড এনে দেন কেভিন। দ্বিতীয়ার্ধের ম্যাচের শেষ গোল করেন ইস্টবেঙ্গল অধিনায়ক সল ক্রেসপো। তবে মাঠে অক্রীড়াসুলভ আচরণের কারণে দু’বার হলুদ কার্ড অর্থাৎ লাল কার্ড দেখেন ইস্টবেঙ্গল কোচ অস্কার ব্রুজোন। ফলে ফাইনালে গ্যালারি থেকেই খেলা দেখতে হবে লাল-হলুদ কোচকে।
ম্যাচ শেষে সল ক্রেসপো বলেন, "আমি খুবই উত্তেজিত। কারণ আমরা আবার একটি ফাইনালে উঠেছি। ম্যাচ শেষে যখন ড্রেসিংরুমে গেলাম তখন সবাই খুব আনন্দে ছিল। ফ্যানরাও খুশি। তবে আমাদের এখনও একটা ম্যাচ বাকি রয়েছে। ফাইনাল জিতে দলকে চ্যাম্পিয়ন করাই আমাদের লক্ষ্য। ফাইনালে গোয়া বা মুম্বই যেই থাকুক না কেন আমি মুখিয়ে আছি খেলার জন্য"।
দ্বিতীয় সেমিফাইনাল অনুষ্ঠিত হবে সন্ধ্যা ৮টা থেকে। মুখোমুখি হবে এফসি গোয়া এবং মুম্বই সিটি এফসি। যে দল জিতবে ফাইনালে ইস্টবেঙ্গলের বিপক্ষ খেলতে হবে তাদের। গত সুপার কাপে কলিঙ্গ স্টেডিয়ামে নিজেদের প্রথম ম্যাচেই কেরালা ব্লাস্টার্সের কাছে ২-০ গোলে হেরে বিদায় নিতে হয়েছিল ইস্টবেঙ্গলকে।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন