
সম্ভাবনা ছিলই, এবার সেটাই সত্যি হল। বেঙ্গল অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের (Bengal Olympic Association) নির্বাচনে পরাজিত হলেন মুখ্যমন্ত্রীর ভাই স্বপন ব্যানার্জি (বাবুন)। এই পরাজয়ের ফলে সভাপতি পদ হারালেন বাবুন। ৪৫ ভোট পেয়ে জয়ী চন্দন রায় চৌধুরী। সচিব পদে নির্বাচিত হন জহর দাস। সদ্য সমাপ্ত লোকসভা ভোটের আগে স্বপন ব্যানার্জির আচরণে বিরক্তি প্রকাশ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি স্বয়ং।
মুখ্যমন্ত্রী গত লোকসভা ভোটের সময় ভাই স্বপন বন্দোপাধ্যায়ের আচরণে বিরক্ত হন। ভোটের আগে স্বপন হাওড়ায় প্রার্থী হতে চেয়ে যেভাবে বিক্ষোভ করেছিলেন, তা মেনে নিতে পারেননি মুখ্যমন্ত্রী। কোনও কোনও মহল থেকে বলা হচ্ছে মুখ্যমন্ত্রীই ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসকে আসরে নামিয়েছিলেন। নির্বাচন কমিশনার ছিলেন মুখ্যমন্ত্রীর দাদা অজিত ব্যানার্জি।
বিওএ নির্বাচনে মোট ৬৮ টি ভোটের মধ্যে ৬৭ টি ভোট পড়ে। সচিব পদে নির্বাচিত হলেন জহর দাস। তাঁর বিরুদ্ধে প্রার্থী ছিলেন স্বপন ব্যানার্জি গোষ্ঠীর কল্যাণ চট্টোপাধ্যায়। সহ সভাপতি রামানুজ মুখোপাধ্যায়, বিশ্বরূপ দে, কমলেশ চট্টোপাধ্যায়। কোষাধ্যক্ষ পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হন কমল মৈত্র।
মুখ্যমন্ত্রীর দাদার আশীর্বাদে কি ভাইকে হারালেন? উত্তরে বিওএ -র নতুন সভাপতি বললেন,'শুধু ও নয়, আমাকে তো সবাই ভালোবাসে। সবাই মিলে কাজ করব। আমার কাজ ছোট খেলার উন্নতি। সরকার থেকে যাতে আরও টাকা আসে।'
এদিন জুডো থেকে ভোট দিতে আসেন রাজ্যের মন্ত্রী সুজিত বসুও। তিনি বলেন, 'খেলা ভালোবাসি। সেই কারণে এলাম।' এছাড়া বিওএ নির্বাচনে ২৫০ পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছিল। যা যে কোনো রাজ্যের নির্বাচনকে মনে করিয়ে দেবে।
এদিন মোট ১৪টি পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। কোষাধ্যক্ষ পদে কমল মৈত্র বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আগেই নির্বাচিত হওয়ায় বাকি ১৩টি পদে নির্বাচন হয়। যার মধ্যে প্রেসিডেন্ট ও সচিব পদে পরাজয় হয়েছে বিদায়ী শাসক গোষ্ঠীর।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন