
ন্যাশনাল অ্যান্টি ডোপিং এজেন্সি (NADA)-র নির্দেশিকা অমান্য করার শাস্তি পেতে হল কুস্তিগীর বজরং পুনিয়াকে। চার বছরের জন্য নির্বাসিত হলেন তিনি। অনেকে আবার রাজনৈতিক প্রতিহিংসার বিষয় হিসেবে তুলে ধরছেন একে।
গত মার্চ মাস থেকেই বজরং পুনিয়াকে নিয়ে বিতর্ক চলছে। সোনিপতে জাতীয় দলে সুযোগ পাওয়ার জন্য ট্রায়াল অনুষ্ঠিত হয়েছিল। সেখানে মূত্রের নমুনা দিতে অস্বীকার করেন বজরং। বজরং-র যুক্তি ছিল মেয়াদ উত্তীর্ণ কিট দেওয়া হয়েছিল নমুনা সংগ্রহের জন্য। তাঁর কোনও দোষ নেই।
এরপরই ২৩ এপ্রিল বজরং-কে সাসপেন্ড করে নাডা। নাডার অভিযোগের ভিত্তিতে তাঁকে সাসপেন্ড করে বিশ্ব কুস্তি সংস্থা। ২৩ জুন নাডা সাসপেন্ডের নোটিশ পাঠায়। যাকে চ্যালেঞ্জ করেন বজরং। গত ২০ সেপ্টেম্বর এবং ৪ অক্টোবর শুনানি হয়। শুনানির পর তাঁকে ৪ বছরের জন্য দোষী সাব্যস্ত করা হয়।
তবে এই ঘটনার মধ্যে অনেকেই রাজনীতির গন্ধ পাচ্ছেন। ভারতীয় কুস্তি ফেডারেশনের প্রাক্তন সভাপতি ব্রিজ ভূষণ শরণ সিং-র বিরুদ্ধে মহিলা কুস্তিগীরদের যৌন হেনস্থার অভিযোগ তুলে পথে নেমেছিলেন বজরং। পরে হরিয়ানা বিধানসভা নির্বাচনের আগে কংগ্রেসে যোগ দেন তিনি। সেই কারণে চক্রান্ত করে নির্বাসনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে অনেকে মনে করছেন।
উল্লেখ্য, গত সেপ্টেম্বর মাসে বজরং পুনিয়া এবং ভীনেশ ফোগাট কংগ্রেসে যোগ দেন। ভীনেশ হরিয়ানার নির্বাচনে টিকিট পেয়ে জয়ীও হন। অন্যদিকে বজরং নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা না করলেও কংগ্রেসের তরফ থেকে তাঁকে সর্বভারতীয় কিষাণ কংগ্রেসের কার্যকরী চেয়ারম্যান নিযুক্ত করা হয়।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন