সমস্ত ফরম্যাটের ক্রিকেটকে বিদায় জানালেন চেতেশ্বর পূজারা। দীর্ঘ প্রায় দু’বছরের বেশি সময় জাতীয় দলের বাইরে থাকবার পর রবিবার সমাজ মাধ্যমে নিজের সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন খ্যাতনামা ভারতীয় ক্রিকেটার। নিজের সিদ্ধান্ত জানিয়ে পূজারা লিখেছেন, “সব ভালো জিনিসই একটা সময় শেষ হয়। আমি কৃতজ্ঞচিত্তে ভারতের সব ধরণের ক্রিকেট থেকে অবসর নিচ্ছি। সব ভালোবাসা এবং সম্মানের জন্য সবাইকে ধন্যবাদ।” ২০২৩-এর জুন মাসের পর তাঁকে আর ভারতীয় দলে ডাকা হয়নি।
অক্টোবর ২০১০-এ ভারতীয় দলে যোগ দিয়ে ২০২৩-এর জুন পর্যন্ত পূজারা খেলেছেন ১০৩টি টেস্ট ম্যাচ এবং পাঁচটি এক দিনের ম্যাচ। টেস্ট ম্যাচে তাঁর মোট সংগ্রহ ৭,১৯৫ রান, গড় ৪৩.৬০। তাঁর সর্বোচ্চ রান ২০৬ নট আউট। টেস্ট কেরিয়ারে তিনি ১৯ টি শতরান এবং ৩২টি অর্ধশতরান করেছেন। রাহুল দ্রাবিড় চলে যাবার পর ভারতীয় টেস্ট দলে তিনি ৩ নম্বর স্থানে নিজের যোগ্যতার পরিচয় দিয়েছেন। বিদেশের মাটিতে ভারতীয় ক্রিকেট দলের একাধিক জয়ে তিনি উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নেন।
২০১০-এ বেঙ্গালুরু টেস্টে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ভারতীয় দলে সুযোগ পান। যদিও চেতেশ্বর পূজারা প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটে আসেন ২০০৫ সালে। সৌরাষ্ট্রের হয়ে সেবার তাঁর রঞ্জি অভিষেক হয়। প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটে তাঁর সংগ্রহ ২৭৮ ম্যাচে ২১,৩০১ রান। গড় ৫১.৮২। এক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ৩৫২ এবং শতরান ও অর্ধশতরান যথাক্রমে ৬৬ ও ৮১। ২০১৮-১৯ মরশুমে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে সিরিজে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে ভারতের প্রথম টেস্ট সিরিজ জয়ে তিনি সিরিজের সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হয়েছিলেন, চারটি টেস্টে তাঁর সংগ্রহ ছিল ৫২১ রান।
দীর্ঘ দু’বছর টেস্ট টিমে ডাক না পেলেও গত বছরে তিনি স্থান পেয়েছিলেন ভারতীয় ক্রিকেটারদের টপ লিস্টে। যে তালিকায় ছিলেন রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলী, আর অশ্বিন প্রমুখরা।
এদিনের বিবৃতিতে পূজারা জানিয়েছেন, আমার ক্রিকেট কেরিয়ারে সমর্থন যোগানোর জন্য আমি বিসিসিআই, সৌরাষ্ট্র ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। এছাড়াও সমস্ত দল, ফ্র্যাঞ্চাইজি, কাউন্টিদল – যাদের হয়ে আমি বিগত সময়ে প্রতিনিধিত্ব করেছি তাদের সকলকেই ধন্যবাদ জানাই।
ওই বিবৃতিতেই তিনি আরও জানান, "ভারতীয় জার্সি পরা, জাতীয় সঙ্গীত গাওয়া, এবং মাঠে নামার সময় আমার সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করা - এর প্রকৃত অর্থ কী তা ভাষায় প্রকাশ করা অসম্ভব।" "কিন্তু সবাই যেরকম বলে যে, সমস্ত ভালো জিনিসেরই একটা শেষ থাকে সেরকমই অপরিসীম কৃতজ্ঞতার সাথে আমি ভারতীয় ক্রিকেটের সব ধরণের ফরম্যাট থেকে অবসর নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।"
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন