ভারতের মহিলা ক্রিকেট দল এবং দৃষ্টিহীন মহিলাদের ক্রিকেট দলের বেতন বৈষম্য নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় সমালোচনার ঝড়। দুই দলই বিশ্ব মঞ্চে ভারতকে শিরোপা জেতালেও আর্থিক পুরস্কারমূল্য এবং বেতনে পার্থক্য প্রচুর।
রবিবার শ্রীলঙ্কায় দৃষ্টিহীন মহিলাদের ক্রিকেট টি-২০ বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ভারত। দীপিকা টিসির নেতৃত্বে শিরোপা অর্জন সম্ভব হয়েছে। তবে দৃষ্টিহীন মহিলা দলের এই জয়ের পরেই বেতন বৈষম্য নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। স্মৃতি মন্ধানারা প্রতি টি-২০ ম্যাচের জন্য পান ৩ লক্ষ টাকা। একদিনের ম্যাচের জন্য পান ৬ লক্ষ টাকা এবং টেস্টের জন্য পান ১৫ লক্ষ টাকা। তবে ভারতের দৃষ্টিহীন মহিলা ক্রিকেট দলের সদস্যরা টি-২০ ম্যাচ পিছু পেয়েছেন মাত্র ৩ হাজার টাকা।
টি-২০ বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে হরমনপ্রীত কৌররা পেয়েছিলেন ৪০ কোটি টাকার আর্থিক পুরস্কার। আর দৃষ্টিহীন মহিলারা আয়োজকদের থেকে পেয়েছেন ৫ লক্ষ টাকার আর্থিক পুরস্কার। বিসিসিআই ভারতীয় মহিলাদের দিয়েছিল ৫১ কোটি টাকা। দৃষ্টিহীন মহিলা ক্রিকেটারদের জন্য বোর্ডের তরফ থেকে এখনও কোনও পুরস্কার ঘোষণা হয়নি।
দৃষ্টিহীন মহিলা ক্রিকেটে স্পনসর পাওয়া একটা কঠিন চ্যালেঞ্জ ছিল বলে জানান সিএবিআই (ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন ফর দ্য ব্লাইন্ড ইন ইন্ডিয়া)-র চেয়ারম্যান জি কে মহন্তেশ। তিনি বলেন, “স্পন্সর পাওয়া সবসময়ই কঠিন ছিল। টুর্নামেন্ট শুরুর দুই সপ্তাহ আগে আমাদের কোনও আর্থিক সহায়তা ছিল না। পরে কিছু বন্ধু এবং শুভাকাঙ্ক্ষীদের সাহায্যে আমরা সমস্যার সমাধান করেছি। তাঁরা আমাদের সাহায্য করার জন্য সমর্থনম ট্রাস্ট এবং স্টেট ব্যাংক অফ ইন্ডিয়াকে বোর্ডে নিয়ে এসেছিলেন।
তিনি আরও বলেন, "বিশ্বকাপের বাজেট ছিল প্রায় ৬ কোটি টাকা। কারণ আমরা দিল্লি, বেঙ্গালুরু এবং কলম্বোতে এটি আয়োজন করেছিলাম। কর্ণাটক সরকার ১ কোটি টাকার আশ্বাস দিয়েছে। আমরা এখনও কেন্দ্রীয় সরকারের কাছ থেকে এই বিষয়ে কিছু ঘোষণার অপেক্ষা করছি।
জি কে মহন্তেশ এও জানান, ৩০০০ টাকা ম্যাচ ফি ছাড়াও আমরা অতিরিক্ত কিছু অর্থ প্রদানের চেষ্টা করছি। কারণ এই মেয়েদের বেশিরভাগই খুবই দরিদ্র পরিবার থেকে এসেছে। ৫ লক্ষ টাকার আর্থিক পুরস্কারের পাশাপাশি, দুটি কর্পোরেট আউটলেট নগদ পুরস্কার ঘোষণা করেছে। চিন্টেলস গ্রুপ এই বিশ্বকাপজয়ী দলের প্রত্যেক খেলোয়াড়কে ১ লক্ষ টাকা দেবে এবং চিপলজিক গ্রুপ প্রত্যেক খেলোয়াড়ের জন্য ২৫০০০ টাকা দেওয়ার ঘোষণা করেছে।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন