
একদিকে যখন রাজ্য সরকার পদকজয়ীদের সরকারি চাকরির আশ্বাস দিয়েছে অন্যদিকে সেই বাংলার খেলোয়াড়রা জাতীয় গেমস খেলতে যাওয়ার সময় ট্রেনের সিটে বসারই সুযোগ পেলেন না! অভিযোগ ট্রেনের মেঝেতে শুয়েই উত্তরাখণ্ড যেতে হল বাংলার খেলোয়াড়দের।
বাকি খেলোয়াড়দের মত ৩৬ জন খো খো খেলোয়াড় ন্যাশনাল গেমসে অংশ নিতে হাওড়া থেকে উত্তরাখণ্ড যাওয়ার উদ্দেশ্য রওনা দেয়। শনিবার সন্ধ্যায় বাঘ এক্সপ্রেসে হাওড়া থেকে রওনা হয়েছিল বাংলার খো খো দল। প্রায় ৩৮ ঘন্টার সফর। তবে খো খো দলের অধিকাংশ খেলোয়াড়ের নাম ওয়েটিং লিস্টে রাখা হয়। খেলোয়াড়রা মেঝেতে শুয়ে মাটিতে বসে অনেকে আবার বাথরুমের সামনে বসেও অধিকাংশ সময় কাটায়।
বাংলা দলের সঙ্গে গেছেন কোষাধ্যক্ষ কমল মৈত্র আর সহ সভাপতি বিশ্বরূপ দে। বিওএ সচিব জহর দাস পিপলস রিপোর্টারকে জানন, 'আমার সঙ্গে যারা যোগাযোগ করেছিল প্রত্যেকে ভালোভাবে গেছে। এমনকি সাঁতার দলের সমস্যা হচ্ছিলো। শেষে একটা সিটে দুজন করেও গেছে। কিন্ত কাউকে এভাবে যেতে হয়নি।'
বিওএর সহ সভাপতি কমলেশ চ্যাটার্জী খো খো দলের কর্মকর্তা। তাহলে কি গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব? তার ফল কি পেতে হলো বাংলার খো খো খেলোয়াড়দের? সেই জবাব কিন্তু দেননি বিওএ সচিব।
২৮ জানুয়ারি থেকে উত্তরাখণ্ডে শুরু হয়েছে জাতীয় গেমস। বাংলার হয়ে পদক পেলেই মিলবে যোগ্যতা অনুযায়ী পুলিশে চাকরি। এমনই জানিয়েছে রাজ্য সরকার। তা ছাড়া সোনা–রুপো–ব্রোঞ্জ জিতলে যথাক্রমে তিন, দুই ও এক লক্ষ টাকা আর্থিক পুরস্কারও দেওয়া হবে।
ন্যাশনাল গেমসের জন্য রাজ্য সরকার পুরো টিমকে (৩৯৫ জন) জার্সি ও ক্রীড়া সরঞ্জাম দিচ্ছে। এছাড়া বাংলা দলকে উত্তরাখণ্ডে পাঠানোর জন্য ৩৩ লক্ষ টাকা খরচ করছে রাজ্য সরকার। গত গেমসে বাংলা ১৮ নম্বর স্থানে ছিল।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন