
বাংলার টেবিল টেনিস যে গোটা দেশের সেরা সেটা ফের প্রমাণিত হল জাতীয় গেমসে। মহারাষ্ট্রকে ৩-১ ব্যবধানে হারিয়ে সোনা জয় বাংলার টিটি দলের। দলের সবথেকে অভিজ্ঞ খেলোয়াড় মৌমা দাস ফাইনালে যদিও নামেননি। প্রথম ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিল দুই রাজ্যের মহিলা দল। ‘বেস্ট অফ থ্রি’ ফরম্যাটে ম্যাচ হয়।
মহিলাদের প্রথম ম্যাচ ছিল সুতীর্থা মুখোপাধ্যায় ও স্বস্তিকা ঘোষের মধ্যে। প্রথম গেম জেতেন সুতীর্থা। দ্বিতীয় গেমস স্বস্তিকার। আর তৃতীয় গেম আবার সুতীর্থা জিতে নেন। স্বস্তিকা চতুর্থ গেম জেতেন। আর শেষ লড়াই সুতীর্থা জেতেন। ফলাফল হয় (১১-৮, ৮-১১, ১৪-১২, ২-১১, ১১-৫)।
দ্বিতীয় ম্যাচে নৈহাটীর ঐহিকা মুখোপাধ্যায় আর দিয়া চিতালের লড়াই হয়। তবে ঐহিকা দাঁড়াতেই পারেননি। ১২-১০, ১১-৬, ১১-৫ ব্যবধানে হারেন এই মুহূর্তে বাংলার টেবিল টেনিসের উজ্জ্বল নক্ষত্র। তৃতীয় ম্যাচ ছিল বাংলার পয়মন্তী বৈশ্য বনাম মহারাষ্ট্রের তানিশা কোটেজার মধ্যে। সেখানে পয়মন্তী ১১-৮, ১১-৭, ৬-১১, ১১-৬ ব্যবধানে জেতেন। তবে চতুর্থ ম্যাচে ১১-৮, ১১-৬, ১৩-১১ ব্যবধানে জিতে যান ঐহিকা।
এরপর পুরুষদের বিভাগে অনির্বাণ ঘোষ যশ মোদীকে ১১-৭, ১০-১২, ৬-১১, ১১-৮, ১১-৪ ব্যবধানে পরাস্ত করেন। আর আকাশ পাল মহারাষ্ট্রের রেগান আলবাকার্ককে পর পর তিনটি গেমে ১১-৫, ১১-৮, ১২-১০ ব্যবধানে হারান। আকাশের ম্যাচের পর সোনা জয় ছিল সময়ের অপেক্ষা। এরপর সৌরভ সাহা চিন্ময় সৌম্যকে ১১-৭, ১১-৮, ৮-১১, ১১-৬ ব্যবধানে হারিয়ে বাংলার সোনা নিশ্চিত করেন।
দেরাদুন থেকে পিপলস রিপোর্টারকে হুগলির পয়মন্তী বৈশ্য বলেন, 'মহারাষ্ট্র অন্যতম কঠিন দল। ওদের হারানো মোটেই সহজ ছিল না। আমরা টিম গেম খেলেছি। পারফরমেন্স করেছি তাই এই ফলাফল। মৌমা দি দলের স্বার্থেই কম্বিনেশনের জন্য না থাকলেও সবসময় আমাদের সাপোর্ট করেছে। পরামর্শ দিয়েছে।'
দলের সঙ্গে থাকা বিওএ সহ সভাপতি বিশ্বরূপ দে বলেন, 'সারা বছর বাংলার টেবিল টেনিস নিয়ে নানা বিতর্ক শুনি। কিন্তু সব বিতর্ক এই খেলোয়াড়েরা ভুলিয়ে দিতে পারে। ঐহিকা, অনির্বাণরা যে দেশের মধ্যে সেরা সেটা তাঁরা দেখিয়ে দিলেন।'
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন