
এশিয়া কাপের দল নির্বাচন নিয়ে তুঙ্গে বিতর্ক। এই আবহে প্রকাশ্যে এল নির্বাচকমণ্ডলী থেকে বাদ পড়তে চলেছেন দু’জন। শুক্রবার এই মর্মে আবেদনপত্র চাওয়াও শুরু করেছে বিসিআই। তারপরেই বিষয়টি প্রকাশ্যে এসেছে এবং শুরু হয়েছে জল্পনা। অন্যদিকে, মহিলাদের জাতীয় নির্বাচক কমিটিতেও আনা হবে বদল।
বৃহস্পতিবারই ভারতীয় দলের প্রধান নির্বাচক পদে অজিত আগরকরের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। ২০২৬ সালের জুন মাস পর্যন্ত মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে আগরকরের। বোর্ড সূত্রে খবর, আগরকর নির্বাচকপ্রধান থাকাকালীন একের পর এক বড় টুর্নামেন্টে সাফল্য পেয়েছে দল। সেকারণে পুরস্কার হিসেবে আরও এক বছরের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে ভারতীয় প্রাক্তন অলরাউন্ডারের। তবে বাদ যাচ্ছেন তাঁরই দুই সতীর্থ।
বোর্ড সূত্রে খবর, সেপ্টেম্বরে বোর্ডের বার্ষিক সাধারণ সভায় নির্বাচক কমিটিতে রদবদল হতে পারে। কার্যকালের মেয়াদ শেষ হওয়ায় সরে যাচ্ছেন একজন। তবে অন্য একজনকে অবশ্য দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হচ্ছে।
জাতীয় নির্বাচক কমিটিতে আগরকর ছাড়াও রয়েছেন - শিবসুন্দর দাস, সুব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়, অজয় রাতরা এবং এস শরৎ। এর মধ্যে চার বছরের মেয়াদ শেষ হচ্ছে শরতের। সূত্রের খবর, তাঁর জায়গায় জাতীয় নির্বাচক হতে পারেন প্রাক্তন স্পিনার প্রজ্ঞান ওঝা। এদিকে শরৎ হতে পারেন জুনিয়র কমিটির চেয়ারম্যান। তবে একজনের কাজে খুশি নন বোর্ড কর্তারা। তাঁর নাম প্রকাশ্যে আনা হয়নি।
জাতীয় নির্বাচক হওয়ার জন্য ৭টা টেস্ট অথবা ৩০টা প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। এছাড়া ১০টা একদিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচ এবং ২০টা প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা থাকলেও নির্বাচক হওয়ার যোগ্য বলে বিবেচিত হবেন। পাশাপাশি, আগ্রহীকে অন্তত পাঁচ বছর আগে সমস্ত ধরনের ক্রিকেট থেকে অবসর নিতে হবে। এছাড়া আবেদনকারীদের কাউকে শেষ পাঁচ বছরের মধ্যে বোর্ডের কোনও কমিটির সদস্য থাকা যাবে না।
পাশাপাশি মহিলাদের জাতীয় দলের জন্য চার জন নির্বাচক খুঁজছে বিসিসিআই। জাতীয় দলে চার সদস্যের মেয়াদ শেষ হচ্ছে। চারটি পদে আবেদনপত্র গ্রহণ করতে চলেছে বিসিসিআই। গত মঙ্গলবার মহিলা বিশ্বকাপের দল বেছে নিয়েছে পাঁচ সদস্যের এই কমিটি। এরপরেই গোটা নির্বাচকমণ্ডলীকেই ছেঁটে ফেলা হতে চলেছে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন