
সাবিনা পার্কে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে তৃতীয় টেস্টে (AUS Vs WI Test) স্কট বোল্যান্ডের অনবদ্য বোলিং পারফরম্যান্স টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে এক নতুন অধ্যায় রচনা করল। ডানহাতি অস্ট্রেলিয়ান পেসার ৩৪ রানে ৩ উইকেট নিয়ে আধুনিক যুগের সেরা ফাস্ট বোলারদের তালিকায় নিজের স্থান আরও মজবুত করলেন।
আইসিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, এই ম্যাচের পর বোলান্ডের টেস্ট বোলিং গড় এখন মাত্র ১৭.৩৩। যা ১৯১৫ সালের পর থেকে কমপক্ষে ২০০০ বল করা যেকোনো টেস্ট বোলারের মধ্যে সর্বোচ্চ। বিগত ১১০ বছরের ইতিহাসে বোলান্ডের উপরে কেবল ইংল্যান্ডের কিংবদন্তি সিড বার্নস রয়েছেন। বাকি যে সকল বোলার তাঁর চেয়ে ভালো গড়ে উইকেট পেয়েছেন, তাঁরা সবাই ১৮০০ সালের এবং টেস্টের প্রাথমিক যুগের খেলোয়াড়।
বোলান্ডের পরিসংখ্যান (২০২১ থেকে এখনও পর্যন্ত) - ১৭.৩৩ গড়ে ৫৯টি উইকেট।
বার্ট আয়রনমঙ্গার (১৯২৮ থেকে ১৯৩৩ সাল পর্যন্ত) - ৭৪ উইকেট, গড় - ১৭.৯৭।
ফ্র্যাঙ্ক টাইসন (১৯৫৪ থেকে ১৯৫৯ সাল পর্যন্ত) - ৭৬ উইকেট, গড় - ১৮.৫৬।
আজাজ প্যাটেল (২০২১ থেকে এখনও পর্যন্ত) - ৫৫ উইকেট, গড় - ১৯.৩৪।
জসপ্রীত বুমরাহ (২০১৮ থেকে এখনও পর্যন্ত) - ২১৭ উইকেট, গড় - ১৯.৪৮।
প্রথম ইনিংসে অস্ট্রেলিয়া মাত্র ২২৫ রান করে। তাদের চার পেসারের দুরন্ত আক্রমণে ওয়েস্ট ইন্ডিজ মাত্র ১৪৩ রানেই অলআউট হয়ে যায়। স্কট বোলান্ড ছাড়াও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন মিচেল স্টার্ক ও প্যাট কামিন্স।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে ওপেনার জন ক্যাম্পবেল (৩৬) কিছুটা প্রতিরোধ গড়ে তুললেও বোলান্ডের নিখুঁত লাইন ও লেংথের সামনে বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। শাই হোপ ২৩ রানে আউট হন এবং লোয়ার অর্ডারে শামার জোসেফকেও বোলান্ড বোল্ড করে দেন।
এই টেস্টে বোলান্ডের ধারাবাহিকতা এবং পরিসংখ্যান শুধু ম্যাচকেই নয়, গোটা ক্রিকেট বিশ্বকে মনে করিয়ে দিচ্ছে যে নিখুঁত লাইন-লেংথ, অ্যাঙ্গেল এবং দৃঢ়তা নিয়ে বোলিং করলেই এখনও টেস্ট ক্রিকেটে আধিপত্য বজায় রাখা সম্ভব। দিনের শেষে ৬ উইকেট হারিয়ে অস্ট্রেলিয়া ১৮১ রানের লিড নিয়েছে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন