
ঠিক যেন পুরনো ছন্দ ফিরে ফেলেন মিচেল স্টার্ক (Mitchell Starc)। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে ৯ রানের বিনিময়ে ৬ উইকেট নিয়ে টেস্ট ক্রিকেটে ৪০০ উইকেটের মালিক হলেন তিনি। পাশাপাশি এই ম্যাচে টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বনিম্ন রানে অলআউট হল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। পাশাপাশি ৩-০ ব্যবধানে টেস্ট সিরিজ জিতে নিল অজিরা।
ভয়ঙ্কর ইনসুইঙ্গার, ভাঙা স্টাম্প এবং শুরুর ওভারেই তিন উইকেট। সব মিলে যেন চিত্রনাট্য। অস্ট্রেলিয়ার বাঁহাতি পেসার মিচেল স্টার্ক ইতিহাস লিখলেন সাবিনা পার্কে। ৭.৩ ওভার বল করেন তিনি। যার মধ্যে ৪টি ওভার মেডেন। ৯ রান দিয়ে ৬ উইকেট নেন।
অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ১০০তম টেস্ট খেলছিলেন মিচেল স্টার্ক। সেই ম্যাচকেই স্মরণীয় করে রাখলেন। স্টার্কের ৬/৯ পারফরম্যান্স ছিল গোলাপি বলে তাঁর কেরিয়ারের সেরা।
তৃতীয় দিনে স্টার্কের প্রথম ওভারেই তিনটি উইকেট পড়ে, যা খেলায় অস্ট্রেলিয়ার আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করে। এই জয়কে স্টার্ক বলেন, "পরিস্থিতির বিরুদ্ধে জয়"। কারণ পুরো খেলায় আলোয় মাত্র ৯ ওভার বল করা হয়।
তিনি বলেন, “আমার মনে হয় যারা বল হাতে ছিল তারা সবাই দারুণ খেলেছে। কেউই ভাবেনি এটা এত দ্রুত হবে। আমাদের প্ল্যান ছিল শেষ সেশনে আঘাত হানা, কিন্তু দরকার পড়েনি।”
স্টার্কের সাম্প্রতিক ফর্ম নজরকাড়া। বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনাল থেকে শুরু করে চলমান সিরিজে তাঁর গড় মাত্র ১৬.৪৫। গোলাপি বলের টেস্টে তাঁর রেকর্ড আরও চমকপ্রদ, ৮১ উইকেট এবং গড় ১৭.০৮।
অস্ট্রেলিয়া অধিনায়ক প্যাট কামিন্সকে ম্যাচে বলই করতে হয়নি, কারণ স্টার্ক ও স্কট বোল্যান্ড মিলে প্রতিপক্ষকে গুঁড়িয়ে দেন। কামিন্স বলেন, “স্টার্ক এমন একজন খেলোয়াড়, যে কয়েক ওভারের মধ্যেই খেলা ঘুরিয়ে দিতে পারে।”
অন্যদিকে, এই ম্যাচেই টেস্ট ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বনিম্ন রানে আউট হল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ১৪.৩ ওভার খেলে ২৭ রানে অল আউট হয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ১৯৫৫ সালে ২৭ ওভার খেলে ২৬ রানে শেষ হয়েছিল নিউজিল্যান্ডের ইনিংস। প্রতিপক্ষ ছিল ইংল্যান্ড। ১৮৯৬ সালে ১৮.৪ ওভার খেলে দক্ষিণ আফ্রিকা ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ৩০ রানে অল আউট হয়েছিল। ১৯২৪ সালেও একই নজির গড়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা এবং ইংল্যান্ড।
এছাড়া টেস্টের ১৪৮ বছরের ইতিহাসে এক ইনিংসে এই প্রথম ৭ ব্যাটার শূন্য রানে আউট হলেন। টেস্ট ইতিহাসে দ্রুততম ৫ উইকেটের মালিক হলেন মিচেল স্টার্ক। মাত্র ১৫ বলে তিনি ৫ উইকেট নিলেন। ১৯৪৭ সালে অস্ট্রেলিয়ার আর্নি টোশাক ১৯ বলে ৫ উইকেট সংগ্রহ করেছিলেন। পাশাপাশি গোলাপি বলের টেস্টে প্রথম হ্যাটট্রিক করলেন স্কট বোলান্ড।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন