

দ্বিতীয়বার ইউএস ওপেন চ্যাম্পিয়ন হলেন কার্লোস আলকারাজ। ফাইনালে পরাস্ত করলেন ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন ইতালির জানিক সিনারকে। ফাইনালে উপস্থিত ছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। একাধিক ভাইরাল ভিডিও দেখে মনে হচ্ছে, আলকারাজের জয়ে খুশি নন তিনি।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দীর্ঘ এক দশকেরও বেশি সময় পর রবিবার ইউএস ওপেন পুরুষদের ফাইনালে উপস্থিত হন। তাঁর আগমনেই ম্যাচ শুরুতে খানিক বিলম্ব ঘটে।
ট্রাম্প শেষবার ইউএস ওপেনে গিয়েছিলেন ২০১৬ সালে স্ত্রী মেলানিয়াকে নিয়ে। এর আগে তিনি নিয়মিতভাবে ম্যাচ দেখতে আসলেও ২০১৫ সালের কোয়ার্টার ফাইনালের পর থেকে আর আসেননি।
তবে কোর্টে সমস্ত নজর কাড়েন স্পেনের কার্লোস আলকারাজ। দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে তিনি ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন জানিক সিনারকে ৬-২, ৩-৬, ৬-১ এবং ৬-৪ ব্যবধানে হারিয়ে ইউএস ওপেন শিরোপা জিতলেন। দুই ঘণ্টা ৪২ মিনিটের এই লড়াই শেষে আলকারাজ কেবল শিরোপাই নয়, ফেরত পেলেন এটিপি বিশ্ব এক নম্বরের স্থানও।
এই জয়ের ফলে সিনারের বিরুদ্ধে আলকারাজের মুখোমুখি রেকর্ড দাঁড়াল ১০-৫। তাঁর গ্র্যান্ড স্লাম শিরোপার সংখ্যা হলো ছয় এবং ইউএস ওপেনে দ্বিতীয়বার চ্যাম্পিয়ন হলেন ২১ বছর বয়সী এই তারকা।
উইম্বলডন ফাইনালের ব্যর্থতার পর দারুণ প্রত্যাবর্তন ঘটালেন আলকারাজ। ম্যাচ শেষে তিনি বলেন, "উইম্বলডনের ফাইনালের পর আমি ভেবেছিলাম, যদি সিনারকে হারাতে চাই তবে নিজেকে আরও উন্নত করতে হবে। ইউএস ওপেন জিততে হলে, সিনারকে হারাতে হলে আমাকে নিখুঁত খেলতে হবে।"
ফ্লাশিং মিডোজে তাঁর খেলা সত্যিই প্রায় নিখুঁত ছিল। গোটা টুর্নামেন্টে তিনি মাত্র একটি সেট হারলেন, ফাইনালে সিনারের বিরুদ্ধে। যেখানে দর্শকরা আলকারাজের সাফল্যে উল্লসিত, সেখানে ট্রাম্পের নির্লিপ্ত প্রতিক্রিয়া সোশ্যাল মিডিয়ায় আলাদা আলোচনার জন্ম দিল, যা রাজনৈতিক রঙ মিশিয়ে দিল ক্রীড়া মহোৎসবে।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন