

ভারতীয় জাতীয় ফুটবল দলের কোচ হিসেবে আবেদন করেছিলেন বার্সেলোনা ও স্পেনের কিংবদন্তি মিডফিল্ডার জাভি হার্নান্ডেজ (Xavi Hernandez)। কিন্তু তাঁর আবেদন খারিজ করে দিয়েছে AIFF। জানা যাচ্ছে, জাভির বেতনের চাহিদা অধিক হওয়ায় আবেদনটি বাতিল হয়েছে।
সর্বভারতীয় এক সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, AIFF-এর টেকনিক্যাল কমিটি ১৭০টি আবেদন পর্যালোচনা করে তিনজন প্রার্থীকে সংক্ষিপ্ত তালিকাভুক্ত করেছে। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন খালিদ জামিল, স্টিফেন কনস্টানটাইন এবং স্টেফান টারকোভিচ। অসাধারণ অভিজ্ঞতা থাকা সত্ত্বেও, জাভির প্রস্তাব ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে মূলত চুক্তির আর্থিক শর্ত পূরণ করতে না পারার কারণে।
বিশ্ব ফুটবলে জাভি পরিচিত মুখ। তিনি ফুটবল ইতিহাসের অন্যতম সেরা মিডফিল্ডারদের মধ্যে একজন। ২০১৯ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত কাতারের আল-সাদ ক্লাবের কোচ ছিলেন। এরপর তিনি বার্সেলোনার প্রধান কোচ হিসেবে ২০২১ সালে দায়িত্ব নেন। তবে ২০২৩/২৪ মরসুমে ট্রফি জিততে ব্যর্থ হওয়ায় তাঁকে বরখাস্ত করে ক্লাব কর্তৃপক্ষ।
বার্সেলোনার হয়ে আটটি লা লিগা ও চারটি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়ের পাশাপাশি জাভি স্পেনের হয়ে ২০১০ বিশ্বকাপ এবং দুটি ইউরো কাপ (২০০৮ ও ২০১২) জিতেছেন।
ভারতীয় দলের নতুন কোচ বাছাই প্রক্রিয়া সম্পর্কে AIFF সভাপতি কল্যাণ চৌবে বলেন, “দেশ ও বিদেশ থেকে আসা ১৭০টি আবেদনের মধ্যে তিনজনকে বাছাই করা হয়েছে। আমাদের সংবিধান অনুযায়ী এরপর একটি নির্বাচন কমিশন গঠন করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।”
তিনি আরও জানান, “আগামী সাত থেকে আট দিনের মধ্যে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে এবং সেখানে ঠিক হবে কে হবেন ভারতের পরবর্তী প্রধান কোচ।”
তিন জনের মধ্যে কোচের দৌড়ে এগিয়ে খালিদ জামিলই। তার কারণ তিনি ভারতীয় এবং কোচ হিসেবে সফলও। মুম্বই এফসি ও আইজলকে আই লিগ চ্যাম্পিয়ন করা ছাড়াও জামশেদপুর এফসির মত কম বাজেটের দলকেও আইএসএলে সাফল্য এনে দিয়েছেন খালিদ।
স্টিফেন কনস্টানটাইন ২০০২ থেকে ২০০৫ এবং ২০১৫-১৯ কার্যক্রমে ভারতের কোচ ছিলেন। তিনি ১৭৩ থেকে ভারতের র্যাঙ্কিং একসময়ে ৯৭-তে নিয়ে আসেন। এছাড়া পাকিস্তান, নেপাল, মালাউই, ইস্টবেঙ্গলে কোচিং করানোর অভিজ্ঞতা রয়েছে তাঁর। টারকোভিচ কিরগিজস্থান, স্লোভাকিয়াতে কোচিং করিয়েছেন।
উল্লেখ্য, চলতি মাসের শুরুতেই মানোলো মার্কেজকে প্রধান কোচের পদ থেকে অব্যাহতি দেয় AIFF। তাঁর উত্তরসূরি কে হবেন, তা নিয়ে এখন নজর ফুটবল মহলের।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন