

বুধবার রাতে স্পেনের বিলবাওতে ইউরোপা লিগের ফাইনালে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডকে ১-০ গোলে পরাজিত করে ১৭ বছর পর প্রথম বড় শিরোপা জিতল টটেনহ্যাম হটস্পার। ম্যাচের একমাত্র গোলটি করেন স্পার্স মিডফিল্ডার ব্রেনান জনসন।
২০০৮ সালের পর এটি টটেনহ্যামের প্রথম ট্রফি এবং ১৯৮৪ সালের পর প্রথম ইউরোপীয় সাফল্য। এস্তাদিও দে সান মামেস স্টেডিয়ামে ম্যাচ শেষে আনন্দে কেঁদে ফেলেন স্পার্স সমর্থকরা।
ম্যাচের প্রথমার্ধ ছিল ছন্দহীন, দুই দলই গোলের সুযোগ তৈরি করলেও ব্যর্থ হয়। তবে ৪২ মিনিটের মাথায় পেপ সার-এর ক্রস থেকে ব্রেনান জনসনের টোকায় গোলটি আসে।
দ্বিতীয়ার্ধে রক্ষণভাগে দারুণ দৃঢ়তা দেখান টটেনহ্যামের ডাচ ডিফেন্ডার মিকি ভ্যান ডি ভেন। ৬২ মিনিটের মাথায় একটি দুর্দান্ত বাইসাইকেল কিক দিয়ে নিশ্চিত গোলের হাত থেকে দলকে রক্ষা করেন তিনি। গোলরক্ষক গুগলিয়েলমো ভিকারিও ম্যাচের শেষ দিকে গুরুত্বপূর্ণ দুটি সেভ করে দলের জয় নিশ্চিত করেন।
এই জয়ের মাধ্যমে আগামী মরসুমে উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগে খেলার সুযোগ পেয়ে গেল টটেনহ্যাম। যদিও তারা প্রিমিয়ার লিগে এবারের মরসুমে ২১টি ম্যাচে হেরে ১৭তম স্থানে রয়েছে।
ম্যাচ শেষে আবেগাপ্লুত জনসন বলেন, “এই ট্রফির অর্থ অনেক। ১৭ বছর পর এই ক্লাব কিছু জিতল। মরসুমের ব্যর্থতা কোনো খেলোয়াড়ের মাথায় নেই।”
এই সাফল্য কোচ অ্যাঞ্জে পোস্টেকোগ্লোর জন্যও বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। মরসুমের শুরুতে সমালোচিত হলেও, এখন তাঁকে কৃতিত্ব দিচ্ছেন অনেকেই। তাঁর কথায়, “আমি জানতাম আমাদের কিছু জেতার দরকার ছিল। আমি সেটা বিশ্বাস করতাম, বলতাম এবং এখন সেটা বাস্তবে পরিণত হয়েছে।”
এই জয় দক্ষিণ কোরিয়ার অধিনায়ক সন হিউং-মিনের জন্যও ঐতিহাসিক। তিনি দক্ষিণ কোরিয়ার প্রথম ক্লাব অধিনায়ক যিনি ইউরোপীয় কোনো বড় ট্রফি নিজের দলের হয়ে জিতেছেন।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন