
অজনা যে কোনও তথ্যের খোঁজ মেলে গুগলে। পড়াশোনা থেকে শুরু করে ঘুরতে যাওয়া অথবা কোনও ব্যক্তি বা যে কোনও কিছু সম্পর্কে জানতে হলে আমরা চট করে গুগলে সার্চ করে নিই। একটা সার্চের মাধ্যেমে ঘরে বসেই জানতে পারি দেশ-বিদেশের অজানা তথ্য। সর্বাধিক সার্চ হওয়া ব্যক্তিদের নিয়ে গুগল প্রতবছর একটি তালিকা প্রকাশ করে। সেইমতো সম্প্রতি ২০২৪ সালের সর্বাধিক সার্চ হওয়া ১o ভারতীয় ব্যক্তির নাম প্রকাশ করল গুগল।
তালিকা অনুযায়ী ভারতের দশজন ব্যক্তির মধ্যে প্রথমেই রয়েছেন প্রাক্তন কুস্তিগীর তথা হরিয়ানার কংগ্রেস বিধায়ক ভীনেশ ফোগাট। গত বছরের শুরুর দিকে বিজেপি নেতা তথা তৎকালীন কুস্তি ফেডারেশনের সভাপতি ব্রিজভূষণ শরণ সিংয়ের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ এনে পথে নেমেছিলেন ভীনেশ। ব্রিজভূষণের শাস্তির দাবিতে দিল্লির যন্তর মন্তরে দীর্ঘদিন অবস্থানেও বসেন ভীনেশ সহ বেশ কয়েকজন খ্যাতনামী কুস্তীগির। চলতি বছর প্যারিস অলিম্পিক্সে প্রথম মহিলা কুস্তিগীর হিসেবে ফাইনালে পৌঁছেও মাত্র ১০০ গ্রাম ওজন বেশি থাকার জন্য বাদ দেওয়া হয় তাঁকে। দেশে ফিরে কুস্তি থেকে অবসর ঘোষণা করে রাজনীতিতে যোগ দেন ভীনেশ। হরিয়ানা বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের প্রতীকে লড়ে বিধায়ক হন ভীনেশ।
তালিকার দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী তথা জেডিইউ প্রধান নীতিশ কুমার। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে রাতারাতি বিরোধী শিবির ছেড়ে শাসক জোট এনডিএ শিবিরে নাম লিখিয়ে নবম বারের জন্য বিহারের মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেন তিনি। নীতিশের কাছে এভাবে শিবির বদল নতুন কিছু নয়। এই নিয়ে পাঁচবার শিবির বদলেছেন তিনি। তাই তাঁকে নিয়ে জনমানসে কৌতূহল তৈরি হয়েছে। যার উত্তর পেতে আমজনতা গুগলের দ্বারস্থ হয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে।
তালিকার তৃতীয় স্থানে রয়েছেন আর এক রাজনীতিবিদ, লোক জনশক্তি পার্টি (রামবিলাস) –এর প্রধান চিরাগ পাসওয়ান। লোকসভা নির্বাচনের আগে বিজেপির সাথে জোট নিয়ে জট তৈরি হয় এলজেপি-র উভয় গোষ্ঠীর। অবশেষে কাকা পশুপতি পারসকে কোণঠাসা করে বিজেপির সাথে জোট করতে সক্ষম হন চিরাগ। লোকসভা নির্বাচনে বিহারের পাঁচটি আসনেই জয়লাভ করে চিরাগের দল। চিরাগ বর্তমানে মোদীর তৃতীয় মন্ত্রিসভার খাদ্যপ্রক্রিয়াকরণ শিল্পমন্ত্রী। তরুণ, সুদর্শন এই রাজনীতিবিদকে নিয়ে আমজনতার মধ্যে যথেষ্ট কৌতূহল রয়েছে।
তালিকার চতুর্থ স্থানে রয়েছেন ভারতীয় অলরাউন্ডার হার্দিক পাণ্ডিয়া। চলতি বছর আইপিএল –এ রোহিত শর্মার কাছ থেকে মুম্বাই ইন্ডিয়ানসের অধিনায়কত্ব ছিনিয়ে নেওয়ায় তোপের মুখে পড়েছিলেন হার্দিক। তবে জুনে টি-২০ বিশ্বকাপে ভারতকে জেতাতে তাঁর ভূমিকা সেই সমালোচনার ক্ষতে অনেকটাই প্রলেপ দিয়েছে। পাশাপাশি স্ত্রী নাতাশা স্টানকোভিচের সঙ্গে বিচ্ছেদ নিয়েও গোটা বছর বেশ আলোচনায় ছিলেন হার্দিক।
তালিকার পঞ্চম স্থানে রয়েছেন পবন কল্যাণ। অভিনেতা তথা জন সেনা পার্টির প্রধান পবন কল্যাণ চলতি বছর অন্ধ্রপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনে লড়েছিলেন। বর্তমানে তিনি সেরাজ্যের উপ মুখ্যমন্ত্রী।
তালিকার ষষ্ঠ ও সপ্তম স্থানে রয়েছেন যথাক্রমে ভারতীয় ক্রিকেটার শশাঙ্ক সিং এবং অভিষেক শর্মা।
তালিকার অষ্টম স্থানে রয়েছেন মডেল তথা অভিনেত্রী পুনম পাণ্ডে। যিনি চলতি বছর ফেব্রুয়ারিতে নিজের মৃত্যুর ভুয়ো খবর প্রচার করেন। পরে পুনম জানিয়েছিলেন, সার্ভিক্যাল ক্যানসার নিয়ে সচেতনা ছড়ানোর জন্য এমন কাণ্ড করেছিলেন তিনি। এই পদক্ষেপের জন্য ক্ষমাও চান তিনি। তবে তাঁর এই কাণ্ডের জন্য তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন তিনি।
এই তালিকার নবম স্থানে রয়েছেন রাধিকা মার্চেন্ট। যিনি চলতি বছর ভারতীয় ধনকুবের মুকেশ আম্বানির ছোটো ছেলে অনন্ত আম্বানিকে বিয়ে করেন। দীর্ঘ কয়েক মাস ধরে চলছিল এই বিবাহ পর্ব।
তালিকার দশম স্থানে রয়েছেন ব্যাটমিন্টন খেলোয়াড় লক্ষ্য সেন। এবছর প্যারিস অলিম্পিক্সে চতুর্থ স্থান অর্জন করেন লক্ষ্য।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন