একদিকে দেশজুড়ে লাগাতার মূল্যবৃদ্ধি, অন্যদিকে পাল্লা দিয়ে চলছে ধর্মীয় মেরুকরণ

৮০০ ওষুধের পাইকারি মূল্য বেড়েছে ১০ শতাংশেরও বেশি। রাজধানীতে তখন অনুমতি ছাড়াই হিন্দুত্ববাদী মহাপঞ্চায়েত বসানো হচ্ছে। হিন্দুত্ববাদী নেতাদের বক্তব্য, সংখ্যালঘুদের জন্য অস্ত্র তুলে নেওয়া হোক।
ছবি - প্রতীকী
ছবি - প্রতীকী
Published on

টানা ১৫ দিন ধরে বেড়ে চলেছে পেট্রোল-ডিজেলের দাম। তা নিয়ে সংসদে বিরোধী দল সরব হয়েছে। পাশাপাশি আজান নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে মুম্বই ও কর্নাটকে। মহারাষ্ট্রের বিজেপি নেতা মোহিত কম্বোজের বক্তব্য, হিন্দু ঐক্যের জন্য মন্দিরে মন্দিরে মাইক লাগানোর অর্থ তাঁরা দেবেন। আজানের পাল্টা হনুমান চালিশা বাজানো হবে সেই মাইকে। কর্ণাটকে আবার বিজেপি মসজিদের মাইক বাজানোয় নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। মুখ্যমন্ত্রী বাসবরাজ বোম্মাইও সবার সঙ্গে কথা বলে সিদ্ধান্ত নেবেন বলে জানিয়েছেন।

গত মাসে চার রাজ্যে বিপুল ভোটে জয় পেয়েছে বিজেপি। তারপর এক মাসেরও কম সময়ের মধ্যে একদিকে পেট্রোল- ডিজেল ও রান্নার গ্যাসের দাম, অন্যদিকে ওষুধের দাম বাড়ছে লাফিয়ে লাফিয়ে। এর মধ্যে এক ধাক্কায় চার দশকে সর্বাধিক হারে কমানো হয়েছে ইপিএফের সুদের হার, খুচরো ও পাইকারি উভয় ক্ষেত্রে মূল্যবৃদ্ধির হার বেড়েছে।

এরইমধ্যে বেড়েছে উগ্র হিন্দুত্ববাদী প্রচার। সরাসরি প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, বিজেপির মুখ্যমন্ত্রীরা নানা ভাবে সেই প্রচারে সুর মিলিয়েছেন। বাদ যাননি উপরাষ্ট্রপতিও। প্রচারের অন্যতম হাতিয়ার হিসেবে উঠে এসেছে 'দ্য কাশ্মীর ফাইলস' সিনেমাটি। সিনেমার চরিত্রদের একাধিকজনের পরিজনরা জানিয়েছেন, ছবিতে যা দেখানো হয়েছে, তার সঙ্গে বাস্তবের কোনও মিল নেই। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী সিনেমার পক্ষে সুর মিলিয়ে জানিয়েছেন, কাশ্মীরি পণ্ডিতদের নিয়ে এই প্রথম সত্য তুলে ধরা হয়েছে।

একদিকে সিলিন্ডার প্রতি দাম বেড়েছে ৫০ টাকা। অন্যদিকে, বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে এই সিনেমাটি দেখানোর জন্য কমিয়ে দেওয়া হয়েছে বিনোদন কর। আবার কর্নাটকে হিজাব নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়। ছাত্রীরা হিজাব পরলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যেতে পারবেন না, সীলমোহর পড়ে এই নিদানে।

পাশাপাশি ৮০০ ওষুধের পাইকারি মূল্য বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে ১০ শতাংশেরও বেশি। রাজধানীতে তখন আর এক চিত্র। অনুমতি ছাড়াই হিন্দুত্ববাদী মহাপঞ্চায়েত বসানো হচ্ছে। হিন্দুত্ববাদী নেতাদের বক্তব্য, সংখ্যালঘুদের জন্য অস্ত্র তুলে নেওয়া হোক। সেই খবর করতে গিয়ে আক্রান্ত হচ্ছেন সাংবাদিকরা। সংসদে শুধু সংখ্যার জোরে পাশ করানো হচ্ছে অপরাধী চিহ্নিতকরণ প্রক্রিয়া বিল।

ছবি - প্রতীকী
Sanjay Raut: আমি বিজয় মালিয়া নাকি নীরব মোদী? - সম্পত্তি বাজেয়াপ্তর পর প্রশ্ন শিবসেনা নেতার

SUPPORT PEOPLE'S REPORTER

ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in