
মঙ্গলবার উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচন। এই নির্বাচনে এনডিএ শিবিরের প্রার্থীই জিততে চলেছে। তবে সূত্রের খবর, ২০২২ সালের থেকে এবার এনডিএ শিবিরের জয়ের ব্যবধান কমতে পারে। যার জেরে এনডিএ শিবির থেকে অধিক গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে এই নির্বাচনকে।
এনডিএ প্রার্থী হিসেবে মহারাষ্ট্রের রাজ্যপাল সি.পি. রাধাকৃষ্ণনের পক্ষে সংখ্যাগরিষ্ঠতা স্পষ্ট। বর্তমানে শাসক জোটের হাতে লোকসভা ও রাজ্যসভা মিলিয়ে ৪২৫ জন সাংসদ রয়েছে। সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য প্রয়োজন ৩৮৬টি ভোট।
অন্যদিকে কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ‘ইন্ডিয়া’ জোট প্রার্থী করেছে অবসরপ্রাপ্ত সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি বি. সুধর্শন রেড্ডিকে। বিরোধী শিবিরের হাতে কাগজে-কলমে ৩২৪টি ভোট রয়েছে। তবে নির্দল সাংসদ, ছোট দল ও সম্ভাব্য ভিন্নমনোভাবাসম্পন্নদের পূর্ণ সমর্থন পেলেও তাদের ঘাটতি থেকে যাবে অন্তত ৭০ ভোটের।
উপ-রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে দলভাঙা ভোট বা ‘ক্রস ভোটিং’ বহুবার দেখা গিয়েছে। ২০২২ সালে জগদীপ ধনখড় ৫২৮ ভোট পেয়ে তিন দশকের মধ্যে সবচেয়ে বড় ব্যবধানে জিতেছিলেন, যেখানে ওয়াইএসআর কংগ্রেস, বিজেডি-সহ বেশ কয়েকটি অ-শাসক দলের ভোট তাঁর পক্ষে এসেছিল।
তবে এবার বিজেডি ও বিআরএস ভোটদানে বিরত থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই নিয়ে রাজনৈতিক মহলে নানা জল্পনা শুরু হয়েছে। বিআরএসের কার্যনির্বাহী সভাপতি কেটি রামা রাও জানান, তেলেঙ্গানায় কৃষকরা সমস্যায় পড়েছে। তাঁদের পাশে দাঁড়াতেই উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
পাশাপাশি বিজেডির তরফ থেকে জানানো হয়, আমরা কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন 'ইন্ডিয়া' এবং বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোটের থেকে দূরে থাকতে চাইছি। সেই জন্য উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করব না।
বিরোধী শিবির জানে এই নির্বাচনে জয়ের সম্ভাবনা প্রায় নেই, তবে তাদের মতে লড়াইটা মূলত প্রতীকী। ২০২২-এর তুলনায় নিজেদের শক্তি বাড়ানোর বার্তা দেওয়া এবং আসন্ন বিহার, পশ্চিমবঙ্গ ও তামিলনাড়ুর বিধানসভা ভোটের আগে কর্মীদের উজ্জীবিত করার কৌশল।
উল্লেখ্য, উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচন গোপন ব্যালটে অনুষ্ঠিত হয় এবং সব সাংসদই ভোট দিতে পারেন। নির্বাচন কমিশনের তত্ত্বাবধানে ভোট গ্রহণ হবে। বেলা ১০ টা থেকে শুরু হবে ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়া।
প্রসঙ্গত, গত ২১ জুলাই নাটকীয়ভাবে উপ রাষ্ট্রপতি পদ থেকে ইস্তফা দেন জগদীপ ধনখড়। ওইদিন রাতে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে চিঠি দিয়ে ইস্তফার কথা জানান তিনি। ইস্তফা পত্রে কারণ হিসেবে স্বাস্থ্যজনিত সমস্যার কথা উল্লেখ করেছেন তিনি। ইস্তফা কয়েক ঘণ্টা আগেও রাজ্যসভায় অধ্যক্ষ হিসাবে অধিবেশন পরিচালনা করেছিলেন তিনি। তাঁর ইস্তফার নিয়ে রাজনৈতিক মহলে নানা জল্পনার সৃষ্টি হয়েছিল।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন