
টাইমস হায়ার এডুকেশন (THE) ইমপ্যাক্ট র্যাঙ্কিং ২০২৫ প্রকাশিত হয়েছে। সেই তালিকায় প্রথম ৫০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ভারতের মাত্র ২টি বিশ্ব বিদ্যালয় স্থান পেয়েছে। এই র্যাঙ্কিংয়ে ভারতে শিক্ষাব্যবস্থার করুণ দশা প্রকাশ্যে এসেছে।
টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রা (SDG) পূরণে এশিয়ার অনেক দেশ যখন উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি দেখাচ্ছে, তখন ভারতের বিশেষ উন্নতি হয়নি বললেই চলে। ১৩০টি দেশের ২,৫২৬টি বিশ্ববিদ্যালয়কে নিয়ে এই তালিকা তৈরি করা হয়।
র্যাঙ্কিং অনুযায়ী, মাত্র দুটি ভারতীয় বিশ্ববিদ্যালয় শীর্ষ ৫০-এ স্থান পেয়েছে এবং মাত্র চারটি প্রতিষ্ঠান শীর্ষ ১০০-র মধ্যে রয়েছে। এই তালিকায় ভারতের শীর্ষস্থানে রয়েছে তামিলনাড়ুর অমৃতা বিশ্ব বিদ্যাপীঠম, যা বিশ্ব র্যাঙ্কে ৪১তম স্থান অর্জন করেছে। আজীবন শিক্ষা, শিক্ষার্থীদের প্রবেশাধিকার এবং পরিষ্কার জলের ব্যবস্থাপনায় ১০০/১০০ স্কোর করেছে প্রতিষ্ঠানটি। অন্যদিকে, পাঞ্জাবের লাভলি প্রফেশনাল ইউনিভার্সিটি (এলপিইউ) ৪৮তম স্থান পেয়ে প্রথমবারের মতো শীর্ষ ৫০-এ প্রবেশ করেছে।
এছাড়া কর্ণাটকের জেএসএস একাডেমি অফ হায়ার এডুকেশন (র্যাঙ্ক ৫৬) এবং হিমাচল প্রদেশের শুলিনি ইউনিভার্সিটি (র্যাঙ্ক ৯৬) শীর্ষ ১০০-র মধ্যে স্থান পেয়েছে।
চলতি বছর ১৩৫টি ভারতীয় প্রতিষ্ঠান এই র্যাঙ্কিংয়ে স্থান পেয়েছে। তবুও শীর্ষ স্তরে ভারতের উপস্থিতি স্পষ্টতই কম। টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যে গবেষণা, প্রচার এবং বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনার মান বিবেচনায় এখনও অধিকাংশ ভারতীয় বিশ্ববিদ্যালয়কে আরও সিদ্ধান্তমূলক পদক্ষেপ নিতে হবে।
বিশ্বের নিরিখে এশিয়া মহাদেশের ৫টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রথম ১০-এ জায়গা করে নিয়েছে। যার মধ্যে অস্ট্রেলিয়ার ওয়েস্টার্ন সিডনি ইউনিভার্সিটি রয়েছে শীর্ষে। দক্ষিণ কোরিয়ার কিউংপুক জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় (কেএনইউ) রয়েছে তৃতীয় স্থানে। অস্ট্রেলিয়ারই আরও দুই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গ্রিফিথ বিশ্ববিদ্যালয় এবং তাসমানিয়া বিশ্ববিদ্যালয় চতুর্থ স্থান অধিকার করেছে। ইন্দোনেশিয়ার ইউনিভার্সিটিস এয়ারলাঙ্গা নবম স্থান দখল করেছে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন