
আহমেদাবাদ বিমান দুর্ঘটনা ভারতের ইতিহাসে সবথেকে দামি বিমান বিমার ঘটনা হতে চলেছে। প্রাথমিক অনুমান অনুযায়ী, এই দুর্ঘটনায় বিমার মাধ্যমে এয়ার ইন্ডিয়া ৪০০০ কোটি টাকার বেশি পেতে পারে।
জেনারেল ইন্স্যুরেন্স কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়ার (GIC Re) চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক রামাস্বামী নারায়ণন ব্লুমবার্গকে জানিয়েছেন, “এই বিমান বিমা ভারতের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় বিমার মধ্যে একটি।” উল্লেখ্য, এয়ার ইন্ডিয়ার এই দুর্ঘটনার বিমা পরিষেবা প্রদানকারী বিমা সংস্থাগুলির মধ্যে জেনারেল ইন্স্যুরেন্স কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়া অন্যতম।
নারায়ণনের মতে, দুর্ঘটনাগ্রস্ত বিমানের অবস্থা ও ইঞ্জিন থেকে ক্ষতিপূরণ বাবদ প্রায় $১২৫ মিলিয়ন অর্থাৎ ভারতীয় মুদ্রায় ১ হাজার কোটিরও বেশি টাকা দাবি করা হতে পারে। অন্যদিকে, যাত্রী ও অন্যান্য প্রাণহানির জন্য $৩৫০ মিলিয়ন অর্থাৎ ৩ হাজার কোটি টাকার বেশি বিমা প্রদান করা হতে পারে।
ব্লুমবার্গ সূত্রে জানা গেছে, ২০২৩ সালে ভারতের বিমা শিল্পে মোট যত পরিমাণ বিমার প্রিমিয়াম জমা পড়েছিল, এই দুর্ঘটনার বিমার দাবি তার তিনগুণেরও বেশি। ফলে বিমান সংস্থাগুলোর জন্য প্রিমিয়াম বাড়তে পারে, বিশেষত পলিসি পুনঃনবীকরণের সময়।
বিশেষজ্ঞদের মতে, দুর্ঘটনায় বিদেশি নাগরিক নিহত হওয়ায় মোট দাবির পরিমাণ আরও বাড়তে পারে, কারণ প্রত্যেক দেশের আইন অনুযায়ী ক্ষতিপূরণ হিসাব করা হবে।
নারায়ণন আরও জানান, বিমার আওতায় থাকা সম্পদের ক্ষতির দাবিগুলো আগে নিষ্পত্তি করা হবে। পরে প্রাণহানির জন্য অর্থ প্রদান করা হবে।
তবে ভারতে বিমা প্রদানকারী সংস্থাগুলির ওপর এই বিপুল বিমা দাবির প্রভাব তেমন পড়বে না। কারণ এই বিমা সংস্থাগুলি সাধারণত মোট ঝুঁকির ১০ শতাংশেরও কম বহন করে। বাকি ৯০–৯৫ শতাংশ ঝুঁকি বিশ্বব্যাপী পুনর্বিমাকারীদের কাছে হস্তান্তর করে। অর্থাৎ, এই পুরো অর্থের বোঝা একক কোনও বিমা সংস্থা নয়, বরং আন্তর্জাতিক কয়েকটি পুনর্বিমাকারী সংস্থার কাঁধে চাপবে।
উল্লেখ্য, গত ১২ জুন ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনা ঘটেছে আমেদাবাদের মেঘানীনগরে। যেখানে একজন বাদে বিমানে থাকা সকলেরই মৃত্যু হয়েছে (২৪১ জনের)। এছাড়াও বহু স্থানীয়ের মৃত্যু হয়েছে। এঁর মধ্যে ১০ জন মেডিক্যাল পড়ুয়াও রয়েছে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন