কাশ্মীরের সাংবাদিক ইরফান মেহরাজের গ্রেপ্তারিতে প্রতিবাদ জানালো এডিটরস গিল্ড অফ ইন্ডিয়া। গত সোমবার সাংবাদিককে গ্রেপ্তার করে ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি (NIA)। তাঁর বিরুদ্ধে ‘সন্ত্রাসবাদীদের অর্থ সাহায্য’ (Terror Funding)-র অভিযোগ আনা হয়েছে এবং আনলফুল অ্যাক্টিভিটিস (প্রিভেনশান) অ্যাক্ট (UAPA) ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
সাংবাদিকের গ্রেপ্তারি প্রসঙ্গে এক ট্যুইট বিবৃতিতে এডিটরস গিল্ড জানিয়েছে, “প্রশাসনের বিরুদ্ধে সমালোচনামূলক প্রতিবেদনের জন্য কাশ্মীরে নিরাপত্তা বাহিনী লাগাতার সাংবাদিকদের গ্রেপ্তারি চালিয়ে যাচ্ছে।”
গিল্ড আরও জানিয়েছে, “উপত্যকায় গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার প্রতি সম্মান জানিয়ে সাংবাদিকদের হয়রানি বন্ধ করতে রাজ্য প্রশাসনের কাছে আবেদন জানাচ্ছে গিল্ড।”
এডিটরস গিল্ডের মতই ইরফান মেহরাজের গ্রেপ্তারিতে প্রতিবাদ জানিয়েছে প্রেস ক্লাব অফ ইন্ডিয়া। এক ট্যুইট বার্তায় প্রেস ক্লাব অফ ইন্ডিয়া জানিয়েছে, সংবাদমাধ্যমের কর্মীদের ওপর প্রবলভাবে ইউএপিএ ব্যবহারের তীব্র বিরোধিতা করছে প্রেস ক্লাব অফ ইন্ডিয়া। “কাশ্মীরের সাংবাদিক ইরফান মেহরাজকে গ্রেপ্তার করার জন্য এনআইএ যেভাবে এই কঠোর আইনের অপব্যবহার করেছে তা বাক ও মত প্রকাশের স্বাধীনতা লঙ্ঘনের দিকে ইঙ্গিত করে।”
অ্যামনেস্টি ইন্ডিয়ার পক্ষ থেকে অবিলম্বে ইরফান মেহরাজের মুক্তি দাবি করা হয়েছে। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল ইন্ডিয়ার চেয়ার অফ বোর্ড আকার প্যাটেল এক বিবৃতিতে সন্ত্রাসবাদের অভিযোগের ইরফানের গ্রেপ্তারিকে প্রতারণার সমান বলে জানিয়েছেন।
ওই বিবৃতিতে তিনি আরও বলেছেন, “জম্মু ও কাশ্মীর অঞ্চলে মানবাধিকারের দীর্ঘকাল ধরে টানা দমন এবং গণমাধ্যমের স্বাধীনতা এবং সুশীল সমাজের উপর আঘাতের আরও একটি দৃষ্টান্ত হল এই গ্রেপ্তার। কাশ্মীরে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা এবং সমিতির অধিকারের কন্ঠরোধ অব্যাহত রয়েছে।”
প্যাটেল জানিয়েছেন,“...ইরফান মেহরাজের মতো মানবাধিকার রক্ষকদের উত্সাহিত করা উচিত এবং সুরক্ষিত করা উচিত, নির্যাতন নয়। অবিলম্বে তাকে মুক্তি দিতে হবে। দমন-পীড়ন বন্ধ করতে হবে।”
সাংবাদিক ইরফান মেহরাজের গ্রেপ্তারি প্রসঙ্গে NIA জানিয়েছে, মেহরাজ মানবাধিকার কর্মী খুররম পারভেজের ঘনিষ্ঠ এবং তাঁর জম্মু ও কাশ্মীর কোয়ালিশন অফ সিভিল সোসাইটিস-এর হয়ে কাজ করে। এনআইএ-র বক্তব্য অনুসারে, এই সংস্থা ‘উপত্যকায় সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপে’ অর্থ যুগিয়ে থাকে। এর আগে ২০২১ সালের নভেম্বর মাসে পারভেজকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন