
মার্কিন ধনকুবের জর্জ সোরোস-এর বক্তব্য নিয়ে তোলপাড় পড়ে গেছে। তাঁর বক্তব্যের বিরোধিতায় সরাসরি মাঠে নেমেছে বিজেপি, কংগ্রেস। কিন্তু কে এই জর্জ সোরোস? কেনই বা তাঁর বক্তব্য এত গুরুত্ব দিয়ে দেখছে রাজনৈতিক মহল? কেনই বা ভারতে তাঁর মন্তব্য নিয়ে বিতর্ক? কেনই বা তিনি এত সমালোচিত?
জানা যাচ্ছে প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প-এর ঘোরতর বিরোধী এই ধনকুবের। ট্রাম্প ছাড়াও তাঁর অপছন্দের তালিকায় আছেন চিনের প্রেসিডেন্ট জিং জিয়াংপিং এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ২০২০ সালে তিনি প্রায় ১ বিলিয়ন ডলার খরচ করেছিলেন এক ইউনিভার্সিটি নেটওয়ার্ক গড়ে তুলে জাতীয়তাবাদ আটকাতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নিয়েছিলেন।
২০২০ সালে দাভোসে ওয়ার্ল্ড ইকনমিক ফোরামের এক সভায় তিনি মোদী সরকারের কড়া সমালোচনা করেছিলেন।
প্রসঙ্গত, জর্জ সোরোসকেই ব্যাঙ্ক অফ ইংল্যান্ডের পতনের জন্য দায়ী করা হয়। ২০২৩ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারির তথ্য অনুসারে জর্জ সোরোসের নীট সম্পদের পরিমাণ ৬.৭ বিলিয়ন ডলার। বিশ্বের ধনীতম ব্যক্তিদের মধ্যে তাঁর স্থান।
লন্ডন স্কুল অফ ইকনমিকসে পড়ার সময় সোরোস পড়ার খরচ চালানোর জন্য রেলের মালবাহক এবং রেস্টুরেন্টে ওয়েটারের কাজ করতেন। ১৯৩০ সালে হাঙ্গেরীর বুদাপেস্টে তাঁর জন্ম। বর্তমানে তাঁর বয়স ৯২ বছর। ১৯৪৭-এ তিনি তাঁর পরিবারের সঙ্গে ইংল্যান্ড আসেন এবং ১৯৫৬ সালে তিনি নিউইয়র্কে চলে যান।
১৯৮৪ সালে নিজের সম্পদ থেকে সোরোস তৈরি করেন ওপেন সোসাইটি ফাউন্ডেশন। একবিংশ শতাব্দীর প্রথমে বিশ্বের প্রায় ৭০টি দেশে কাজ করত ওপেন সোসাইটি ফাউন্ডেশন। ২০২২ সালে তিনি ডেমোক্রেটিক পারটিকে প্রায় ১২৮.৫ মিলিয়ন ডলার দান করেন। এর আগে বারাক ওবামার নির্বাচনী প্রচারে তিনিই প্রধান মুখ হিসেবে উঠে এসেছিলেন। উল্লেখ্য, ওপেন সোসাইটি ফাউন্ডেশন বিশ্বের বৃহত্তম ব্যক্তি মালিকানাধীন সংস্থা, যারা বিভিন্ন গোষ্ঠী, সংস্থা – যারা মানবাধিকার, গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা, ন্যায়বিচারের দাবিতে আন্দোলনরত, তাদের অনুদান দিয়ে থাকে।
সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙে যাবার পর সোরোসের ফাউন্ডেশন চেকোশ্লোভাকিয়া, পোল্যান্ড, রাশিয়া এবং যুগোশ্লাভিয়ায় কাজ শুরু করে। ২০১০ সালে সোরোস প্রায় ১০০ মিলিয়ন ডলার দান করেন হিউম্যান রাইটস ওয়াচকে। যদিও তাঁর এই আর্থিক সহায়তা দানের কারণে তিনি কনজারভেটিভ এবং রিপাবলিকান পার্টির সমালোচনার মুখে পড়েন।
GOOGLE NEWS-এ আমাদের ফলো করুন