আদানি সাম্রাজ্যের পতনেই ভারতে গণতন্ত্রের নবজাগরণ হবে, মার্কিন ধনকুবেরের মন্তব্যে বিতর্ক

জর্জ সোরোস বলেন, 'ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদী এই বিষয়ে নীরব রয়েছেন। কিন্তু তাঁকে বিদেশী বিনিয়োগকারীদের এবং ভারতের সংসদে বিরোধীদের তোলা প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে।'
জর্জ সোরোস এবং গৌতম আদানি
জর্জ সোরোস এবং গৌতম আদানিফাইল ছবি

'শেয়ার বাজারে গৌতম আদানির পতন হলে, তা থেকে ভারতের 'গণতান্ত্রিক পুনরুজ্জীবনে'র সূচনা হতে পারে।' শুক্রবার, এমনই বিতর্কিত মন্তব্য করেছেন মার্কিন ধনকুবের জর্জ সোরোস। এই মন্তব্যের তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি।

কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, 'ব্যক্তিগত লাভের জন্য ভারতের অর্থনীতিকে আক্রমণ করছেন জর্জ সোরোস। তাঁর এই মন্তব্যের নিন্দা সমস্ত ভারতবাসীর মিলে করা উচিত।'

মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনের আগে এক বক্তৃতায় জর্জ সোরোস বলেন, 'ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদী এই বিষয়ে নীরব রয়েছেন। কিন্তু তাঁকে বিদেশী বিনিয়োগকারীদের এবং ভারতের সংসদে বিরোধীদের তোলা প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে। এই ঘটনার ফলে মোদীর প্রভাব উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পাবে। অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কারেরও সূচনা হবে। আমি ভুলও হতে পারি, কিন্তু আমি আশা করি, এর থেকে ভারতের গণতন্ত্রে একটি নবজাগরণের শুরু হবে।'

জর্জ সোরোসের এই মন্তব্যকে 'ভারতের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া ধ্বংস করার ঘোষণা' বলে অভিহিত করেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি। তিনি বলেন, 'যারা আমাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করার চেষ্টা করেছিল, এমন 'বিদেশী শক্তি'কে আগেও পরাজিত করেছে ভারতীয়রা। এবং, আবারও করবে।'

এই ইস্যুতে মুখ খলেছেন প্রবীণ কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ। তাঁর কথায়, আদানি-বিতর্ক আগামীতে ভারতে 'গণতান্ত্রিক পুনরুজ্জীবন' করবে কিনা, জর্জ সোরোসের সাথে এর কোনো সম্পর্ক নেই।

এক টুইট বার্তায় জয়রাম রমেশ লিখেছেন, 'আদানি কাণ্ডের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী সম্পর্ক, ভারতে গণতান্ত্রিক পুনরুজ্জীবনের জন্ম দেবে কিনা - তা সম্পূর্ণরূপে কংগ্রেস, বিরোধী দল এবং আমাদের নির্বাচনী প্রক্রিয়ার উপর নির্ভর করছে। জর্জ সোরোসের সাথে এর কোনো সম্পর্ক নেই। আমরা নেহরুর উত্তরাধিকার হিসেবে, এটা নিশ্চিত করে বলতে পারি- সোরোসের মতো লোকেরা আমাদের নির্বাচনী ফলাফল ঠিক করে দিতে পারবে না।'

প্রসঙ্গত, সম্প্রতি মার্কিন সংস্থা হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ এক রিপোর্টে দাবি করে, কারচুপি করে শেয়ারের দর বাড়িয়েছে আদানি গোষ্ঠী। বিদেশী আর্থিক সংস্থা এবং মার্কিন বন্ডে সম্পদ লেনদেন করেছে এই গোষ্ঠী। সেই লেনদেন স্বচ্ছ নয়। এই রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসার পরই দেশবাসীর মধ্যে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। একইসঙ্গে, ধস নেমেছে আদানি গোষ্ঠীর শেয়ারে। বিদেশী বিনিয়োগকারীদের উপরও এর প্রভাব পড়েছে।

GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in