
১১ বছরে ভারতে চরম দারিদ্র্যের হার কমলো ২১.৮ শতাংশ। ২০১১-১২ সালে চরম দারিদ্র্যের হার ছিল ২৭.১ শতাংশ যা ২০২২-২৩ সালে কমে হয়েছে ৫.৩ শতাংশ। বিশ্বব্যাঙ্কের সাম্প্রতিক তথ্যে এমনটাই জানা যাচ্ছে।
ভারত সরকারের একাধিক জনকল্যাণমূলক নীতির জন্য এই চরম দারিদ্র্যের হার হ্রাস পেয়েছ বলে মনে করছে বিশ্বব্যাঙ্ক। এই বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদী তাঁর সরকারের প্রশংসা করে জানান, "ক্ষমতায়নের মাধ্যমে আমরা শুধু দারিদ্র্য দূর করিনি, বরং গরিবদের সম্মান এবং সুযোগও ফিরিয়ে দিয়েছি।"
বিশ্বব্যাঙ্কের তথ্যানুযায়ী, ২০১১-১২ সালে চরম দারিদ্র্যসীমার অধীনে ছিলেন ভারতের ৩৪ কোটির বেশি মানুষ। যা ২০২২-২৩ সালে কমে হয়েছে ৭ কোটি ৫০ লক্ষের কিছু বেশি। অর্থাৎ, মাত্র ১১ বছরে প্রায় ২৭ কোটি মানুষ চরম দারিদ্র্য থেকে মুক্তি পেয়েছেন।
বিশ্বব্যাংক বলছে, এই অগ্রগতির পেছনে উত্তরপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, বিহার, পশ্চিমবঙ্গ এবং মধ্যপ্রদেশ রাজ্যগুলির বড় ভূমিকা রয়েছে। এই পাঁচটি রাজ্য মিলিয়ে চরম দারিদ্র্যতা হ্রাসে কমপক্ষে দুই-তৃতীয়াংশ অবদান রেখেছে।
গ্রামীণ ও শহরাঞ্চল দুই ক্ষেত্রেই দারিদ্র্য হ্রাস স্পষ্ট। ২০১১-১২ থেকে ২০২২-২৩ সালের মধ্যে গ্রামীণ চরম দারিদ্র্য ১৮.৪ শতাংশ থেকে কমে দাঁড়িয়েছে ২.৮ শতাংশে এবং শহরাঞ্চলে চরম দারিদ্র্য ১০.৭ শতাংশ থেকে কমে হয়েছে মাত্র ১.১ শতাংশ।
বিশ্বব্যাঙ্ক আন্তর্জাতিক দারিদ্র্যসীমা নির্ধারণ করে দৈনিক ২.১৫ ডলার (২০১৭ সালের মূল্যে) খরচের ভিত্তিতে। এই মানদণ্ডে, ২০২২ সালে ভারতে দারিদ্র্যসীমার নিচে বাস করা মানুষের সংখ্যা ৩৩.৬৬ মিলিয়ন, যা ২০১১ সালে ছিল ২০৫.৯৩ মিলিয়ন।
একইসঙ্গে, বহুমাত্রিক দারিদ্র্য সূচকেও (MPI) ভারতের অগ্রগতি চোখে পড়ার মতো। ২০০৫-০৬ সালে যেখানে MPI ছিল ৫৩.৮ শতাংশ, তা ২০১৯-২১ সালে কমে হয়েছে ১৬.৪ শতাংশ এবং ২০২২-২৩ সালে আরও কমে দাঁড়িয়েছে ১৫.৫ শতাংশে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এই সাফল্যের পেছনে রয়েছে কেন্দ্রের একাধিক সামাজিক কল্যাণমূলক উদ্যোগ। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা, উজ্জ্বলা যোজনা, জন ধন যোজনা এবং আয়ুষ্মান ভারতের মতো প্রকল্প সরাসরি চরম দারিদ্র্য দূরীকরণে ব্যাপক প্রভাব রেখেছে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন