

জেডিইউ যদি ২৫-এর বেশি আসনে জয়লাভ করে তাহলে রাজনীতি ছেড়ে দেবেন - এমনটাই দাবি করেছিলেন ভোট কুশলী রাজনীতিবিদ প্রশান্ত কিশোর। ভোট গণনা এখনও অনেক বাকি থাকলেও এই মুহূর্তে কমিশনের ওয়েবসাইটের তথ্য অনুসারে জেডিইউ এগিয়ে ৭৬ আসনে।
বিহারের ভোটে সাড়া জাগিয়ে শুরু করলেও শেষ পর্যন্ত মুখ থুবড়ে পড়লো ভোট কুশলী প্রশান্ত কিশোরের জন সূরজ পার্টি। এই মুহূর্তের গণনার প্রবণতা অনুসারে বিহারের ২৪৩ আসনের মধ্যে কোনও আসনেই এগিয়ে নেই প্রশান্ত কিশোরের দল। জন সূরজ প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিল ২৩৮ আসনে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে প্রশান্ত কিশোর নিজেকে যে মুহূর্তে নির্বাচনী লড়াই থেকে সরিয়ে নিয়েছিলেন সেই মুহূর্তেই জন সূরজের ভিত সরে গেছিল।
বিহারের কোনও বুথ ফেরত সমীক্ষাতেই জন সূরজকে বিশেষ এগিয়ে রাখা হয়নি। কোনও বুথ ফেরত সমীক্ষাতেই জন সূরজকে ২টির বেশি আসন দেওয়া হয়নি। ভোটের আগে প্রশান্ত কিশোর জানিয়েছিলেন হয় ১০-এর নিচে অথবা ১৫০-এর ওপরে আসন পাবে জন সূরজ। তা যদি না হয় সেক্ষেত্রে নিজের ব্যর্থতা স্বীকার করে নেবেন তিনি। যদিও এখনও পর্যন্ত গণনার যা গতি প্রকৃতি তাতে সেই সম্ভাবনা কার্যত নেই বললেই চলে। অধিকাংশ আসনেই খুব কম ভোট পেয়ে জন সূরজ তৃতীয় বা চতুর্থ স্থানে আছে।
গণনা যদিও এখনও অনেকটাই বাকি, নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটের তথ্য অনুসারে অধিকাংশ আসনেই ৭ থেকে ৯ অথবা ১১ রাউন্ড পর্যন্ত গণনা হয়েছে, তবুও বিহারে ফলাফলের প্রবণতা এখনই অনেকটা স্পষ্ট হয়ে গেছে। শেষ পাওয়া প্রবণতা অনুসারে, এনডিএ এগিয়ে রয়েছে ১৯২ আসনে এবং মহাজোট এগিয়ে রয়েছে ৪৮ আসনে।
কমিশনের ওয়েবসাইটের তথ্য অনুসারে দলগতভাবে বিজেপি এগিয়ে ৮৬ আসনে, জেডিইউ ৭৬ আসনে, আরজেডি ৩৪ আসনে, এলজেপি (আরভি) ২০ আসনে, সিপিআইএমএল লিবারেশন ৭ আসনে, কংগ্রেস ৬ আসনে, আরএলএম ৪ আসনে, হ্যাম ৪ আসনে, মিম ৩ আসনে, সিপিআইএম ও সিপিআই ১টি করে আসনে এবং বিএসপি ১ আসনে এগিয়ে আছে। মুকেশ সাহানীর ভিআইপি এবং পিকে-র জন সূরজ কোনও আসনেই এগিয়ে নেই।
এনডিএ-র জয়ের প্রাথমিক প্রবণতা সম্পর্কে জন সূরজ বিহারের সভাপতি মনোজ ভারতী সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে জানিয়েছেন, "আমরা শুরু থেকেই বলে আসছি যে আমরা বিহারে নতুন রাজনীতি আনার চেষ্টা করছি। এই রাজনীতিকে বিহারের জনগণের কাছে পৌঁছে দেওয়া কঠিন। প্রশান্ত কিশোর সবসময় বলতেন যে যদি মানুষ আমাদের কথা বুঝতে পারে, তাহলে আমরা শীর্ষে থাকব; যদি তারা না বোঝে, তাহলে আমরা ব্যর্থ হব। এই প্রবণতাগুলি দেখায় যে মানুষ আমাদের বুঝতে ব্যর্থ হয়েছে, এবং আমরাও তাদের বোঝাতে ব্যর্থ হয়েছি।"
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন