

১১ নভেম্বর বিহারে দ্বিতীয় দফার ভোটগ্রহণ শেষ হবার পর থেকে এখনও পর্যন্ত এনডিএ শিবির জিতে আছে। বুথ ফেরত সমীক্ষায়। ১৪ নভেম্বর সকালে যতক্ষণ পর্যন্ত না গণনা শুরু হবে ততক্ষণ জিতে থাকবে। তারপর চূড়ান্ত ফলাফলে কে জিতবে তখন দেখা যাবে। আপাতত একটি ছাড়া প্রায় সব বুথ ফেরত সমীক্ষাই এনডিএ শিবিরকে বিজয়ী ঘোষিত করে দিয়েছে। আগামীকাল দুপুরের মধ্যেই সব স্পষ্ট হয়ে যাবে। এই লেখাটার ততটা গুরুত্ব তখন হয়তো আর থাকবে না। তবুও এবারের বিহার বিধানসভা নির্বাচন কেন ঐতিহাসিক, সেটুকু অন্তত থেকে যাক। ফলাফল! তার জন্য ১৪ তারিখ, শুক্রবার পর্যন্ত অপেক্ষা করাই শ্রেয়।
অতীতের ট্র্যাক রেকর্ড বলে, বিহারে জনমত সমীক্ষা বা বুথ ফেরত সমীক্ষার ফলাফল এর আগেও সম্পূর্ণ উল্টোদিকে ঘুরেছে। গতবারেও মেলেনি। মেলেনি তার আগেরবার, ২০১৫ সালেও। এমনকি গত লোকসভা নির্বাচনের ফলাফলও জনমত সমীক্ষা বা বুথ ফেরত সমীক্ষার উল্টোদিকেই হেঁটেছে। বুথ ফেরত সমীক্ষার ‘আব কী বার চারশো পার’-কে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে দুশো চল্লিশেই আটকে গেছিল এনডিএ। সেবার মোটামুটি ১৬টা বুথ ফেরত সমীক্ষার কথা জানা গেছিল। যাদের মধ্যে ১৩টি সংস্থা এনডিএ-কে জিতিয়ে দিয়েছিল এবং মাত্র ২টি সংস্থার সমীক্ষায় ইন্ডিয়া মঞ্চকে এগিয়ে রাখা হয়েছিল। ১টি সংস্থা জানিয়েছিল দুই শিবিরের আসনসংখ্যা সমান সমান হবে। লোকসভা ভোটের চূড়ান্ত ফলাফল আমাদের জানা। তাই এসব পুরোনো কাসুন্দি এখন থাক। বরং নতুন কিছু হোক।
বিহারে ভোটদানের হার – অতীত এবং বর্তমান
বিহারে এবারের ভোটদানের হার ইতিমধ্যেই সকলের চর্চায়। আজ পর্যন্ত বিহারে যত নির্বাচন হয়েছে তার কোনোটাতেই এত মানুষ ভোট দেননি। প্রশ্ন একটাই। এবারে কেন এত বেশি মানুষ ভোট দিলেন? ২০ বছরের পুরোনো, একাধিক অভিযোগে দীর্ণ একটা সরকারকে রেখে দেবার জন্য, নাকি রাজ্যে বদল আনার জন্য? বিরাট সংখ্যক এই ভোটদান কি এসআইআর-এর নাম করে তড়িঘড়ি বহু মানুষের ভোটাধিকার কেড়ে নেবার প্রতিবাদে? লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধীর আনা ‘ভোট চুরি’ অভিযোগকে মান্যতা দিয়ে ক্ষোভে? নাকি তথাকথিত ‘স্বচ্ছ ভোটার তালিকা’য় ভোট হয়েছে বলে ভোটদানের হার বেশি মনে হচ্ছে। আসলে যত সংখ্যক মানুষ আসলে ভোট দিতেন সেই সংখ্যক মানুষই ভোট দিয়েছেন। শুধু ভোটার তালিকায় মৃত এবং স্থানত্যাগী ভোটারদের নাম বাদ গেছে বলে তালিকার মেদ কমেছে এবং ভোটদানের হার বেশি মনে হচ্ছে? এই ধরণের একাধিক প্রশ্ন ঘোরাফেরা করছে। মিডিয়া আমাদের ঘোরাচ্ছে হাজার রকম সম্ভাবনা, সূত্রের মারপ্যাঁচে। যার কোনোটারই সঠিক উত্তর ফলাফল না বেরোনো পর্যন্ত স্পষ্ট হবেনা। তাই তাড়াহুড়ো না করে ধৈর্য ধরাই ভালো।
নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুসারে বিহারে প্রথম দফায় ভোট দিয়েছেন ৬৫.০৮ শতাংশ এবং দ্বিতীয় দফায় ভোট দিয়েছেন ৬৮.৭৬ শতাংশ। দু’দফা মিলিয়ে বিহারে মোট ভোটদানের হার ৬৬.৯১ শতাংশ। যা গতবারের তুলনায় ৯.৬২ শতাংশ বেশি। অতীতে কখনই এই হারে বিহারের মানুষ ভোট দেননি। এর আগে বিহারে সবথেকে বেশি ভোট পড়েছিল ২০০০ সালের বিধানসভা নির্বাচনে, ৬২.৫৭ শতাংশ। ১৯৯৮ সালের লোকসভা ভোটে বিহারে ভোট দিয়েছিলেন ৬৪.৬০ শতাংশ ভোটার। ঐতিহ্য বজায় রেখে এবারেও বিহারে পুরুষদের অনুপাতে মহিলারা বেশি সংখ্যায় ভোট দিয়েছেন। প্রায় ৭১.৬ শতাংশ। গত দু’টি বিধানসভা নির্বাচনে বিহারে মহিলাদের ভোটদানের হার ছিল যথাক্রমে ৫৯.৬৯% (২০২০), এবং ৬০.৪৮% (২০১৫)। শেষ তিনটি বিধানসভা এবং লোকসভা ভোটে পুরুষদের অনুপাতে মহিলারা বেশি সংখ্যায় ভোট দিলেও এত বেশি সংখ্যায় মহিলারা এর আগে কখনও বিহারে ভোট দেননি। বিহারের ক্ষেত্রে নির্বাচনী বিশ্লেষকদের মতে, মহিলারা বেশি সংখ্যায় ভোট দিলে তা এনডিএ-র পক্ষে যাবার সম্ভাবনা বেশি।
ভোটদানের হার এবং বিহারে ভোটের ফলাফলে তার প্রভাব
ভোটদানের হার বেশি হলে সাধারণ হিসেবে তা প্রতিষ্ঠান বিরোধিতা বা ‘অ্যান্টি ইনকামবেন্সি’ হিসেবে এবং পরিবর্তনের পক্ষে বলে ধরা হয়। যদিও ব্যতিক্রম যে একদমই নেই তা নয়। কখনও কখনও বেশি হারে ভোটদান শাসকের পক্ষে যাবার নজিরও আছে। নির্বাচনী বিশ্লেষকদের মতে, অতীতে বিহারের নির্বাচনে ৫৬ শতাংশ ক্ষেত্রে জনমত সমীক্ষার ফলাফল মেলেনি।
বিহারের অতীত নির্বাচনী ফলাফল এবং পরিসংখ্যান বেশ আকর্ষণীয়। পরিসংখ্যান অনুসারে, বিহার নির্বাচনে যখন যখন বেশি হারে ভোট পড়েছে তখন তখনই সরকার বদল হয়েছে। উদাহরণ হিসেবে ধরা যেতে পারে ১৯৬২ এবং ১৯৬৭-র কথা। ৬২ সালে বিহারে ভোট পড়েছিল ৪৪.৪৭ শতাংশ এবং ৬৭ সালে ভোট পড়ে ৫১.৫১ শতাংশ বা ৭ শতাংশ বেশি। সেবারই প্রথম বিহারে কংগ্রেস সরকারের পতন হয় এবং অ-কংগ্রেসি সরকার গঠিত হয়।
একইভাবে ১৯৮০ সালে পূর্ববর্তী ১৯৭৭ সালের নির্বাচনের তুলনায় ভোটদানের হার বাড়ে প্রায় ৭ শতাংশ। ৭৭-এর ৫০.৫১ থেকে সেবার ভোটের হার বেড়ে হয় ৫৭.২৮ শতাংশ। অর্থাৎ ৬.৭৭ শতাংশ বৃদ্ধি। সেবার জনতা সরকারের পতন হয় এবং শাসন ক্ষমতায় ফেরে কংগ্রেস।
১৯৮৫ সালের ৫৬.২৭ শতাংশ থেকে ১৯৯০ সালে ভোটদানের হার বেড়ে হয় ৬২.০৪ শতাংশ, যা ৫.৭৭ শতাংশ। পতন হয় কংগ্রেস সরকারের। ক্ষমতায় আসে লালু প্রসাদ যাদবের দল। অতএব, বিহারে ভোটের হার বৃদ্ধি এবং সরকারের পতনের এতটাই নিবিড় সম্পর্ক যে ১৪ তারিখ শুক্রবার ঠিক কী হবে তা নিয়ে এখনই খুব বেশি মাথা ঘামিয়ে লাভ নেই। হতে পারে যে কোনো কিছুই।
বুথ ফেরত সমীক্ষা এবং বিহার
বিহারে এবার যে বুথ ফেরত সমীক্ষা সামনে এসেছে তাতে বিভিন্ন সংস্থা বিভিন্ন রকম দাবি জানিয়েছে। পিপলস পালস, পি-মার্ক, চাণক্য স্ট্র্যাটেজিস, দৈনিক ভাস্কর, ম্যাট্রিজ, জেভিসি – সকলের দাবিই এক। এনডিএ বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে সরকারে আসতে চলেছে। আসন সংখ্যা কম বেশি প্রায় ১৪০-এর কাছাকাছি বা বেশি আসন। মহাজোট থেমে যাবে মোটামুটি ৯০-এর মধ্যে। যদিও ব্যতিক্রম একটি মাত্র সংস্থা। জার্নো মিরর নামক একটি সংস্থা দাবি করেছে মহাজোট আসন পাবে ১৩০ থেকে ১৪০-এর কাছাকাছি এবং এনডিএ থামবে ১০০ থেকে ১১০ আসনে। তবে কোনও বুথ ফেরত সমীক্ষাতেই ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোরের সাড়া জাগানো জন সূরজকে নিয়ে আশা দেখা যায়নি।
এখনও পর্যন্ত এই বুথ ফেরত সমীক্ষা নিয়ে রাজনৈতিক মহল উত্তাল হলেও মহাজোটের আরজেডি, কংগ্রেস এই ফলাফল উড়িয়ে দিয়ে দাবি করেছে, ফলাফল সম্পূর্ণ উল্টো হবে। আরজেডি মুখপাত্র মৃত্যুঞ্জয় তিওয়ারি যেমন বলেছেন, "বুথ ফেরত সমীক্ষা অতীতেও ভুল প্রমাণিত হয়েছে এবং ভবিষ্যতেও ভুল প্রমাণিত হবে। আমি সম্পূর্ণ আত্মবিশ্বাসী যে ১৪ নভেম্বর মহাজোট এবং তেজস্বী যাদব বিপুল ভোটের ব্যবধানে জয়ী হবে। বিহারের মানুষ এনডিএ সরকারের বিরুদ্ধে এবং তেজস্বীর সরকার গঠনের জন্য ভোট দিয়েছেন"। অন্যদিকে কংগ্রেসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, "মহাজোট নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে সরকার গঠন করবে এবং নীতিশ কুমার আর মুখ্যমন্ত্রী হবেন না।"
বুথ ফেরত সমীক্ষা - ২০২০
২০২০ সালের বুথ ফেরত সমীক্ষাতেও একইভাবে জয়ী দেখানো হয়েছিল মহাজোটকে। যদিও মহাজোটের আরজেডি একক সংখ্যাগরিষ্ঠ দল হলেও সরকার হয়েছিল এনডিএ-র। সেবার মোট ৮টি বুথ ফেরত সমীক্ষার মধ্যে ৬টিতে জানানো হয়েছিল জয়ী হবে মহাজোট এবং ২টি বুথ ফেরত সমীক্ষা এনডিএ জয়ী হবে বলে জানিয়েছিল। চূড়ান্ত ফলাফল হয় ১২৫-১১০। বুথ ফেরত সমীক্ষার হিসেব মেলেনি। সেবার প্রধান দুই যুযুধান শিবিরের ভোট শতাংশেও পার্থক্য ছিল মাত্র ০.০৩ শতাংশের।
বুথ ফেরত সমীক্ষা - ২০১৫
২০১৫ সালে বিহারে বুথ ফেরত সমীক্ষা রিপোর্ট সামনে এনেছিল ৬টি সংস্থা। যার মধ্যে ৩টি সংস্থা জানিয়েছিল মহাজোট জয়ী হবে। ২টি সংস্থা জানিয়েছিল এনডিএ জয়ী হবে এবং ১টি সংস্থা জানিয়েছিল বিধানসভায় কেউ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে না। সেবার মহাজোটের আসন দেখানো হয়েছিল ১২২-এর আশেপাশে। এনডিএ-র আসন দেখানো হয়েছিল ১১৪-র আশেপাশে। যদিও ফলাফলে দেখা গেছিল নীতিশ কুমার লালুপ্রসাদ যাদবের মহাজোট জয়ী হয়েছে ১৭৮ আসনে। এনডিএ থমকে যায় মাত্র ৫৮ আসনেই। সেবারেও বুথ ফেরত সমীক্ষার হিসেব মেলেনি।
এই প্রসঙ্গে আরও একটা কথা না বললেই নয়। বিহারের ৩২% শতাংশ ভোটার বুথ ফেরত সমীক্ষায় জানিয়েছেন তাঁরা তেজস্বী যাদবকে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চান। অন্যদিকে ৩০ শতাংশ ভোটার জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে তাদের পছন্দ নীতিশ কুমার। অর্থাৎ তেজস্বীর অনুপাতে ২ শতাংশ কম। তেজস্বী যাদবকে মুখ্যমন্ত্রী দেখতে চেয়ে নীতিশ কুমারের দলকে ভোট দিয়ে আসবেন এরকম কেউ কি থাকতে পারেন ভোটারদের মধ্যে? সাধারণ বুদ্ধি তো এক্ষেত্রে অন্য কথা বলে।
এতগুলো তথ্য পরিসংখ্যান নিয়ে নাড়াচাড়া করার অর্থ এটা নয় যে বুথ ফেরত সমীক্ষা মিলবে না সে দাবি জানানো। শুধু এটুকুই স্পষ্ট করে দেওয়া যে, বুথ ফেরত সমীক্ষা সবসময় মেলেনা। সেখানেও ভুল হয়। বিশেষ করে বর্তমান সময়ে বিভিন্ন ঘটনায় মূল ধারার সংবাদমাধ্যমের যে চরিত্র আমাদের সামনে একটু একটু করে স্পষ্ট হচ্ছে তাতে এই ধরণের সমীক্ষা নিয়ে সন্দেহ থাকে বৈকি। রবীশ কুমার যাদের ‘গোদী মিডিয়া’ বলে থাকেন সাম্প্রতিক একাধিক ঘটনায় তাদের মুখ আর মুখোশ তো এখন আমাদের সামনেই আছে।
বিহারে বেশি হারে ভোটদান প্রসঙ্গে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের বক্তব্য
এবার যদিও নিজের দল নিয়ে তিনি লড়াইয়ের ময়দানে তবুও বিগত কয়েক বছরে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলকে পরামর্শ দানের অভিজ্ঞতা আছে জন সূরজ পার্টির প্রশান্ত কিশোরের। নির্বাচনটা তিনি আর পাঁচজনের থেকেই একটু ভালোই বোঝেন তাতে সংশয় নেই। এবার প্রথম দফায় বেশি হারে ভোটদানের পর তিনি জানিয়েছিলেন, বেশি ভোট পড়ার অর্থ বদল হচ্ছে এবং আগামী ১৪ নভেম্বর বিহারে আমরা নতুন সরকার দেখতে পাবো। তাঁর মতে, মহিলারা এই নির্বাচনে গুরুত্বপূর্ণ হলেও এই নির্বাচনে পরিযায়ী শ্রমিকরাই এক্স ফ্যাক্টর।
অন্যদিকে আরজেডি-র তেজস্বী যাদব বলেন, এত বেশি হারে ভোট দেবার জন্য আমি বিহারের মানুষকে ধন্যবাদ জানাই। আমি এখন নিশ্চিতভাবে বলতে পারি আপনারা মহাজোটের জয় নিশ্চিত করেছেন। বুধবারের সাংবাদিক সম্মেলনে তেজস্বী যাদব জানিয়ে দিয়েছেন আগামী ১৮ নভেম্বর তিনি শপথগ্রহণ করবেন।
বুধবার পাটনায় এক সাংবাদিক সম্মেলনে তেজস্বী যাদব জানিয়েছেন, গতকাল, ভোটদানের সময় মানুষ দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে ছিল, এমনকি সন্ধ্যা ছয়টা বা সাতটা পর্যন্তও। মানুষ ধৈর্য ধরে ভোট দেওয়ার জন্য অপেক্ষা করছিল এবং ভোটগ্রহণ যখন চলছিল, তখনই এক্সিট পোল বেরিয়ে আসতে শুরু করে। আমরা মিথ্যা আশাবাদ বা ভুল বোঝাবুঝিতে বাস করি না। এই সমীক্ষাগুলো কেবল একটি মানসিক প্রভাব তৈরি করার জন্য, নির্বাচন প্রক্রিয়ার সাথে জড়িত কর্মকর্তাদের উপর চাপ সৃষ্টি করার জন্য প্রকাশ করা হয়। তিনি আরও বলেন, এই ফলাফল বিজেপির কোনও শীর্ষ নেতা লিখে দিয়েছেন এবং তা সংবাদমাধ্যমে পাঠানো হয়েছে। তেজস্বীর দাবি, বিহারের মানুষ নীতিশকে রক্ষা করবার জন্য ভোট দেননি, তাঁকে পরাজিত করবার জন্য ভোট দিয়েছেন এবং এই ভোট পরিবর্তনের ভোট।
এবং সবশেষে…
বিহারে ভোটের ফলাফল যাই হোক না কেন, যে সমস্ত ইস্যু এবারের বিহার ভোটে উঠে এসেছে সেগুলো কোনোটাই এড়িয়ে যাবার মত নয়। সেখানে বেকার সমস্যার কথা আছে, আইন শৃঙ্খলার সমস্যার কথা আছে, কাজের খোঁজে দলে দলে মানুষের বিহার ছেড়ে যাবার কথা আছে, দুর্নীতির কথা আছে, প্রশাসনিক ব্যর্থতার কথা আছে এবং আছে প্রতিষ্ঠান বিরোধিতা। এছাড়াও যেভাবে তথ্য সহ রাজ্যে রাজ্যে ভোট চুরির অভিযোগ তুলছেন লোকসভার বিরোধী দলনেতা, তাও যথেষ্ট গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করতে হবে। যে দল বা জোটই জয়ী হোক না কেন, এই সমস্যাগুলো আছে, প্রবলভাবে আছে এবং তা মেটানোই সব রাজনৈতিক দলের প্রধান লক্ষ্য হওয়া উচিত। নতুন সরকারের নজর থাকুক সাধারণ মানুষের অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থানের সংস্থানে। সুরক্ষিত থাকুক গণতন্ত্র, সংবিধান, যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন