
২০২৩-২৪ আর্থিক বছরে কেন্দ্রে ক্ষমতাসীন ভারতীয় জনতা পার্টির (BJP) আয় ৪,৩৪০.৪৭ কোটি টাকা। যা গত আর্থিক বছরের তুলনায় ৮৩.৩৫ শতাংশ বেশি। অ্যাসোসিয়েশন ফর ডেমোক্রেটিক রিফর্মস (ADR) প্রকাশিত ভারতের রাজনৈতিক দলগুলির আয় ব্যয় সংক্রান্ত এক সমীক্ষা রিপোর্টে সোমবার এই তথ্য জানানো হয়েছে। এডিআর আরও জানাচ্ছে, বিজেপি-র আয় দেশের অন্য ছ’টি জাতীয় দলের মোট আয়ের ৭৫ শতাংশ।
আয়ের নিরিখে বিজেপির পরেই আছে দেশের শতাব্দীপ্রাচীন রাজনৈতিক দল কংগ্রেস। যারা একই আর্থিক বছরে আয় করেছে ১,২২৫.১১ কোটি টাকা। তৃতীয় স্থানে থাকা সিপিআইএম-এর মোট আয় ১৬৭.৬৩ কোটি, চতুর্থ স্থানে থাকা বিএসপি-র আয় ৬৪.৭৭ কোটি এবং পঞ্চম স্থানে থাকা আম আদমি পার্টির আয় ২২.৬৮ কোটি। তালিকায় ষষ্ঠ স্থানে থাকা এনপিপি-র আয় ২২.৪৪ লক্ষ টাকা। ২০২৩-২৪ আর্থিক বছরে বিগত বছরের তুলনায় কংগ্রেসের আয় বেড়েছে ১৭০.৮২ শতাংশ। টাকার অঙ্কে যা ৭৭২.৭৪ কোটি টাকা।
এই ছয় জাতীয় আয়ের মূল অংশ এসেছে দান বা ডোনেশন থেকে। যেখানে বিজেপি পেয়েছে ৩,৯৬৭.১৪ কোটি টাকা, কংগ্রেস ১,১২৯.৬৬ কোটি টাকা, সিপিআইএম ৭৪.৮৬ কোটি টাকা, আপ ২২.১৩ কোটি টাকা এবং এনপিপি পেয়েছে ১৭.৬৯ কোটি টাকা।
ইলেক্টোরাল বন্ড-এর মাধ্যমে সিপিআইএম-এর তহবিলে কোনও টাকা আসেনি। একই ভাবে ইলেক্টোরাল বন্ডের মাধ্যমে বিএসপি এবং এনপিপি-র তহবিলে কোনও টাকা আসেনি। যদিও বিজেপি ১,৬৮৫.৬২ কোটি টাকা পেয়েছে ইলেকটোরাল বন্ডের মাধ্যমে। কংগ্রেস ইলেক্টোরাল বন্ডের মাধ্যমে পেয়েছে ৮২৮.৩৬ কোটি টাকা। আপ ইলেক্টোরাল বন্ডের মাধ্যমে পেয়েছে ১০.১৫ কোটি টাকা।
জমা টাকার ওপর সুদ হিসেবে এই সময় বিজেপি পেয়েছে ৩৬৯.০৩ কোটি টাকা। কুপনের মাধ্যমে কংগ্রেস সংগ্রহ করেছে ৫৮.৫৫ কোটি টাকা এবং দলীয় সভ্যদের কাছ থেকে লেভি এবং কুপনের মাধ্যমে সিপিআইএম সংগ্রহ করেছে ৪৯.০৮ কোটি টাকা। বিএসপি সুদ বাবদ পেয়েছে ৩৮.১৮ কোটি টাকা।
এই আর্থিক বছরে বিজেপি খরচ করেছে ২,২১১.৬৯ কোটি টাকা বা তাদের মোট আয়ের ৫০.৯৬ শতাংশ। যার মধ্যে নির্বাচন বাবদ বিজেপির খরচ ১,৭৫৪.০৬ কোটি টাকা। কংগ্রেস খরচ করেছে ১,০২৫.২৪ কোটি টাকা বা মোট আয়ের ৮৩.৬৯ শতাংশ। নির্বাচন বাবদ কংগ্রেসের খরচ ৬১৯.৬৭ কোটি টাকা। সিপিআইএম খরচ করেছে ১২৭.২৮ কোটি টাকা বা মোট আয়ের ৭৫.৯৩ শতাংশ। বিএসপির খরচ ৪৩.১৮ কোটি টাকা বা মোট আয়ের ৬৬.৬৭ শতাংশ।
৩১ অক্টোবর, ২০২৪-এর মধ্যে এই আয় ব্যয়ের হিসেব জমা দেবার থাকলেও বিজেপি, কংগ্রেস এবং সিপিআইএম নির্ধারিত সময়ের পরে এই হিসেব জমা দিয়েছে। যার মধ্যে ৬৬ দিন পরে আর্থিক হিসেব জমা দিয়েছে বিজেপি, ৫৩ দিন পরে হিসেব জমা দিয়েছে কংগ্রেস এবং ১২ দিন পরে হিসেব জমা দিয়েছে সিপিআইএম।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন