
‘লভ জিহাদ’ নিয়ে নয়া আইন আনতে চলেছে মহারাষ্ট্রের দেবেন্দ্র ফড়নবিশের সরকার। কিন্তু এনিয়ে রাজ্য সরকারের বিরোধিতা করলেন এনডিএ-র শরিক দল রিপাবলিকান পার্টি অফ ইন্ডিয়া (এ)-র প্রধান তথা কেন্দ্রের সামাজিক ন্যায়বিচার মন্ত্রী রামদাস অঠাওয়ালে। এবিষয়ে তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর প্রসঙ্গও টেনেছেন।
রামদাস অঠাওয়ালে জানান, কেউ ভিন্ন ধর্মে বিয়ে করলে সেটিকে ‘লভ জিহাদ’ বলা যায় না। তাঁর কথায়, “ভিন্ন ধর্মের কাউকে বিয়ে করা হলে সেটিকে লভ জিহাদ বলা অন্যায়”। একই সঙ্গে মন্ত্রীর কথায়, “পদক্ষেপ এমন করা উচিত, যাতে সামাজিক এবং ধর্মীয় সম্প্রীতি রক্ষা হয়”। পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রীর প্রসঙ্গ টেনে রামদাস বলেন, “প্রধানমন্ত্রী সকলকে সমান চোখে দেখেন এবং সকলের উন্নতি করেন”।
লভ জিহাদের বিরুদ্ধে শুক্রবার সাত সদস্যের কমিটি গঠন করেছে দেবেন্দ্র ফড়নবিশের সরকার। এই কমিটির নেতৃত্বে রয়েছেন মহারাষ্ট্র পুলিশের ডিজি রশ্মি শুক্ল। এছাড়া বাকি ছয় সদস্য হল – নারী এবং শিশুকল্যাণ দফতর, সংখ্যালঘু উন্নয়ন দফতর, আইন এবং বিচার দফতর, স্বরাষ্ট্র দফতর, বিশেষ সহযোগিতা দফতর এবং সামাজিক ন্যায়বিচার দফতরের প্রতিনিধিরা।
সরকারি বিজ্ঞপ্তিতে ‘লভ জিহাদ’ শব্দটির ব্যবহার থাকলেও এই নিয়ে অতিরিক্ত কোনও ব্যাখ্যা নেই। সরকারের এই নয়া আইনের বিরোধিতা করেছেন এনডিএ-র শরীক রামদাস অঠাওয়ালে।
উল্লেখ্য, ধর্মান্তরিত করা বন্ধ করতে নতুন পরিকল্পনা চালু করার কথা ক্ষমতায় এসেই জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবীশ। বিশেষ করে অন্য ধর্মে ধর্মান্তরকরণ বন্ধ করতে তাঁর সরকার ভাবনাচিন্তা করছে বলে জানিয়েছিলেন তিনি।
এর আগে উত্তরপ্রদেশের যোগী সরকার ‘লভ জিহাদ’ রুখতে বিধানসভায় বিল পাশ করেছে। নতুন বিলে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং পাঁচ লক্ষ টাকা পর্যন্ত জরিমানার কথা রয়েছে। এই সংক্রান্ত বিল পাশ হয়েছে আসামের বিধানসভাতেও। সেরাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মাও গত বছর নতুন বিল পাশ করেন। উত্তরপ্রদেশের মতো আসামেও যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের কথা উল্লেখ রয়েছে নয়া বিলে। আর এবার সেই একই পথে হাঁটতে চলেছে মহারাষ্ট্রের এনডিএ সরকার।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন