
২০২৩-২৪ অর্থবর্ষের প্রথম ১০ মাসে দেশে ২৪ লক্ষ ডিজিটাল প্রতারণার ঘটনা ঘটেছে। ক্ষতি হয়েছে ৪,২৪৫ কোটি টাকা। মূলত মোবাইল, বিভিন্ন কার্ডের মাধ্যমে এই জালিয়াতি হয়েছে বলে অভিযোগ।
কিছুদিন আগে সংসদে ডিজিটাল প্রতারণার পরিসংখ্যান লিখিত আকারে জানিয়েছে অর্থমন্ত্রক। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে দেশে ডিজিটাল প্রতারণার সংখ্যা ছিল ২০ লক্ষ। যেখানে ক্ষতির পরিমাণ ছিল ২,৫৫৩ কোটি টাকা। ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে ২৪ লক্ষ ডিজিটাল প্রতারণার ঘটনা ঘটেছে। ক্ষতি হয়েছে ৪,২৪৫ কোটি টাকা। তবে এর মধ্যে ১৩ লক্ষ অভিযোগে ৪,৩৪৬ কোটি টাকা উদ্ধার করাও সম্ভব হয়েছে।
ডিজিটাল প্রতারণা থেকে বাঁচতে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া (RBI) সেন্ট্রাল পেমেন্টস ফ্রড ইনফরমেশন রেজিস্ট্রি (CPFIR) তৈরি করেছে। এখানে প্রতারিতরা ব্যাঙ্ক জালিয়াতি বা অনলাইন পেমেন্ট সংক্রান্ত জালিয়াতির অভিযোগ নথিভুক্ত করতে পারেন।
ডিজিটাল প্রতারণা রুখতে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের তরফ থেকে এআই পদ্ধতির সাহায্য নেওয়া হচ্ছে। দেশের প্রায় সমস্ত ব্যাঙ্কেই এই পদ্ধতি চালু করার কথা জানিয়েছে আরবিআই। পাশাপাশি সিটিজেন ফিনান্সিয়াল সাইবার রিপোর্টিং অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম চালু করা হয়েছে। যার মাধ্যমে জালিয়াতির অভিযোগের ভিত্তিতে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া হয়।
প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালে কেন্দ্রে ক্ষমতায় আসার পর নরেন্দ্র মোদী ভারত এবং ভারতবাসীকে ‘ডিজিটাল’ করার বার্তা দেন। তিনি ঘোষণা করেন ডিজিটাল ইন্ডিয়ার। যেখানে জোর দেওয়া হয় ‘নগদবিহীন লেনদেন’-র উপর। কিন্তু বর্তমানে দেখা যাচ্ছে ডিজিটাল ভাবে আর্থিক লেনদেন ক্রমশ ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ছে।
অন্যদিকে, ডিজিটাল ইন্ডিয়ার ১০ বছর পূর্তিতে লিঙ্কডইনে প্রধানমন্ত্রী লেখেন, “২০১৪ সালে দেশে ইন্টারনেটের ব্যবহার খুবই কম ছিল। ডিজিটাল সাক্ষরতা কম ছিল। এমনকি বিভিন্ন সরকারি ক্ষেত্রেও অনলাইনের ব্যবহার ছিল না বললেই চলে। ডিজিটাল ইন্ডিয়া নিয়ে অনেকেই সমালোচনা করেছিলেন। ভেবেছিলেন ভারতের মতো জনবহুল দেশে কীভাবে এটা সম্ভব। আজ, এই প্রশ্নের উত্তর কেবল তথ্য এবং ড্যাশবোর্ডেই নয় বরং ১৪০ কোটি ভারতীয়ের জীবনেও পাওয়া গেছে। আমরা কীভাবে শাসন করি, কীভাবে শিখি, লেনদেন করি এবং গড়ে তুলি, ডিজিটাল ইন্ডিয়া সর্বত্রই বিদ্যমান।"
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন