
বিহারের রাজনীতিতে নতুন চমকের অপেক্ষা। ২০২৫ বিহার বিধানসভা নির্বাচনে বিরোধী জোটের সাথে যুক্ত হতে চলেছে আসাদউদ্দিন ওয়াইসির ইন্ডিয়া মজলিস-ই-ইত্তেহাদুল মুসলিমিন (AIMIM)। বিহারে এনডিএ সরকারের পতন চান বলেই দাবি করেছেন তিনি।
চলতি বছরের শেষের দিকে বিহারে বিধানসভা নির্বাচন। এই নির্বাচনে একদিকে রয়েছে জেডিইউ-বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ শিবির এবং অন্যদিকে রয়েছে আরজেডি-কংগ্রেস ও বাম দলগুলির 'মহাগঠবন্ধন'। বিরোধী জোটের সাথে আসন সমঝোতার জন্য আলোচনা চালাচ্ছে মিম।
সর্বভারতীয় এক সংবাদমাধ্যমে আসাদউদ্দিন ওয়াইসি বলেন, বিহারে AIMIM ইউনিটের সভাপতি আখতারুল ইমান ইতিমধ্যে আরজেডি-কংগ্রেসের কিছু নেতার সঙ্গে কথাবার্তা চালিয়েছেন। আমরা চাই না বিজেপি বা এনডিএ আবার ক্ষমতায় ফিরে আসুক। তবে পাঁচ বছর আগেও আমি নিজে উদ্যোগ নিয়েছিলাম কিন্তু তখন কিছুই হয়নি। এবার আখতারুল ইমান চেষ্টা করছেন। এখন সিদ্ধান্ত জোটের মধ্যে থাকা রাজনৈতিক দলগুলির।”
ওয়াইসি জানান, যদি ‘মহগঠবন্ধন’ তাদের সঙ্গে সমঝোতায় না আসে, AIMIM এককভাবেই লড়াই করতে প্রস্তুত। তিনি বলেন, “আমরা সীমাঞ্চল এবং সীমাঞ্চলের বাইরেও লড়ব। তারা যদি প্রস্তুত না থাকে তাহলে আমি সমস্ত জায়গায় লড়তে প্রস্তুত”।
বিশেষজ্ঞদের মতে, AIMIM যদি পৃথকভাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে, তবে সংখ্যালঘু ভোট বিভক্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। যা বিরোধী জোটকে ক্ষমতা দখলের লড়াই থেকে অনেকটা পিছিয়ে দিতে পারে।
বিহারে বিধানসভা নির্বাচন কেবল সংখ্যার লড়াই নয়, বরং জোট গঠনের কৌশল, সংখ্যালঘু ভোট ব্যাঙ্ক এবং আঞ্চলিক ইস্যুতে প্রভাব বিস্তারের প্রতিযোগিতাও বট। এই লড়াইয়ে AIMIM-এর অবস্থান এখন নজরকাড়া। কারণ এই মিমকেই কংগ্রেস একাধিকবার বিজেপির ‘বি’ টিম বলে আক্রমণ করেছে। কংগ্রেসের একাংশ মনে করে মিম সংখ্যালঘু ভোট কেটে বিজেপির সুবিধা করে দেয়।
প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের নির্বাচনে AIMIM ২০টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে পাঁচটি আসন জিতেছিল। যদিও পরে তাদের চারজন বিধায়ক আরজেডিতে যোগ দেন। তবুও বিহারে দলের সংগঠন আগের থেকে আরও মজবুত হয়েছে বলেই দাবি ওয়াইসির।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন