

১৯০১ সাল থেকে এখনও পর্যন্ত উষ্ণতম বছর গেছে ২০২৪। ভারতীয় আবহাওয়া বিভাগের (IMD) ডিরেক্টর জেনারেল ডঃ মৃত্যুঞ্জয় মহাপাত্র এক ভার্চুয়াল প্রেস বিবৃতিতে একথা জানিয়েছেন।
আইএমডি প্রধান ওই বিবৃতিতে জানান, ১৯০১ সাল থেকে দীর্ঘ সময়ের গড় ন্যূনতম তাপমাত্রার তুলনায় ২০২৪ সালের গড় ন্যূনতম তাপমাত্রা ০.৯০ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি ছিল। তিনি জানিয়েছেন, ২০২৪ সালে ভূমিপৃষ্ঠের বার্ষিক গড় তাপমাত্রা ১৯৯১-২০২০ সময়কালের ভূমিপৃষ্ঠের গড় তাপমাত্রার তুলনায় ০.৬৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি ছিল।
আইএমডি ডিরেক্টর জেনারেল জানান, ১৯০১ থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ২০২৪ সাল উষ্ণতম বছর ছিল। যা ২০১৬-র থেকেও বেশি। ওই বছর ভূমিপৃষ্ঠের গড় বার্ষিক তাপমাত্রা ছিল সাধারণ তাপমাত্রার অনুপাতে ০.৫৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি।
ইউরোপিয়ান আবহাওয়া সংস্থা কোপারনিকাস জানিয়েছে, ২০২৪ সালে বিশ্বজুড়ে গড়ে তাপমাত্রা বেড়েছে ১.৫ ডিগ্রি। যা এই বছরকে উষ্ণতম বছর হিসেবে গণ্য করেছে।
এছাড়াও ওয়ার্ল্ড ওয়েদার অ্যাট্রিবিউশন এবং ক্লাইমেট সেন্ট্রাল নামক দুই আবহাওয়া সংস্থা জানিয়েছে বিগত বছরগুলোর তুলনায় ২০২৪ সালে বিশ্বজুড়ে ৪১ দিন অতিরিক্ত তাপপ্রবাহ চলেছে।
এই প্রসঙ্গে বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, ২০২৪ সালে ২১৯টি চরম আবহাওয়ার ঘটনা চিহ্নিত করা হয়েছে। যার মধ্যে ২৯টির পরীক্ষা নিরীক্ষা করে দেখা গেছে জলবায়ু পরিবর্তনের এই ধরণের ২৬টি চরম আবহাওয়ার ঘটনায় কমপক্ষে ৩,৭০০ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং লক্ষ লক্ষ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন।
বিশেষ এই ঘটনাগুলির মধ্যে আছে সুদান, নাইজেরিয়া, নাইজার, ক্যামেরুন এবং চাদের বন্যা। বিজ্ঞানীরা এগুলিকে আবহাওয়া পরিবর্তনের সবচেয়ে মারাত্মক ঘটনা বলে চিহ্নিত করেছেন, যেখানে কমপক্ষে ২,০০০ মানুষের মৃত্যু হয়েছে।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন