
কৃত্রিম বুদ্ধমত্তা বা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (AI)-র কারণে প্রায় ১২,০০০ কর্মী ছাঁটাই করতে চলেছে ভারতের বৃহত্তম আইটি পরিষেবা প্রদানকারী টাটা কনসালটেন্সি সার্ভিসেস (TCS)। যা সংস্থার মোট কর্মী সংখ্যার ২ শতাংশ।
ভারতের শীর্ষস্থানীয় আইটি পরিষেবা সংস্থা টিসিএস ২০২৫-২৬ অর্থবর্ষে বিপুল কর্মী ছাঁটাই করার পরিকল্পনা করছে। এই সিদ্ধান্তের ফলে প্রাথমিকভাবে প্রায় ১২,০০০ কর্মীর ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়বে।
আন্তর্জাতিক এক সংবাদ সংস্থার প্রতিবেদন অনুযায়ী, এই ছাঁটাইয়ের মূল লক্ষ্য হল টিসিএস-এর অভ্যন্তরীণ কাঠামোকে নতুন প্রযুক্তি ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI)-ভিত্তিক পরিষেবার সঙ্গে খাপ খাওয়ানো। সংস্থার দাবি, এর জন্য কর্মীদের পুনঃপ্রশিক্ষণ এবং পুনর্নির্মাণের কাজ চলছে।
এক বিবৃতিতে টিসিএস জানায়, “আমাদের গ্রাহকদের পরিষেবার উপর কোনো প্রভাব যাতে না পড়ে তাই এই পরিবর্তনগুলি অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে পরিকল্পিতভাবে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।”
চলতি মাসের শুরুতে, কোম্পানির এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট ও প্রধান মানবসম্পদ কর্মকর্তা (CHRO) মিলিন্দ লাক্কাড় জানান, "জুন ২০২৫-এর শেষে TCS-এর মোট কর্মী সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬,১৩,০৬৯। ত্রৈমাসিকে ৫,০০০-এরও বেশি কর্মী ছাঁটাই হয়েছে। আমরা সমস্ত অফার করা চাকরির প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেছি এবং বছরজুড়েই তা অব্যাহত থাকবে।”
লাক্কাড় আরও জানান, “পরিবর্তিত প্রযুক্তির চাহিদার সঙ্গে তাল মিলিয়ে গ্রাহকদের জন্য প্রাসঙ্গিক থাকতে আমাদের ব্যবসায় উল্লেখযোগ্য বিনিয়োগ করা জরুরি। এই ত্রৈমাসিকে, আমাদের কর্মীরা উদীয়মান প্রযুক্তিতে দক্ষতা অর্জনের জন্য প্রচুর সময় ব্যয় করেছেন। বর্তমানে টিসিএস-এ ১,১৪,০০০ কর্মী উচ্চতর AI দক্ষতা অর্জন করেছেন।”
TCS-এর CEO কে কৃত্তিবাসন বলেন, “এই ত্রৈমাসিকে, আমরা অপারেশনাল এক্সিলেন্স ও উদ্ভাবনের উপর মনোনিবেশ করেছি। সংস্থা এখন ডেটা ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহারের মাধ্যমে উন্নত কর্মক্ষমতা অর্জনের চেষ্টা করছে। অ্যাপ্লিকেশন, কর্মপ্রবাহ এবং ডেটা পারফরম্যান্স জুড়ে AI-এর গ্রহণযোগ্যতা বাড়ানোই আমাদের মূল লক্ষ্য।”
তিনি আরও জানান, বর্তমান বাজারে ব্যয় সংক্রান্ত চাপ অব্যাহত থাকলেও, প্রযুক্তি রূপান্তর ও দক্ষতা বৃদ্ধির প্রতি আগ্রহী সংস্থাগুলোর মধ্যে টিসিএস এখনও শক্তিশালী অবস্থানে রয়েছে।