
ব্যবহারকারীকে না জানিয়েই সমাজমাধ্যম থেকে তাঁর পোস্ট মুছে দেওয়া হচ্ছে। বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে অ্যাকাউন্ট। এই বিষয়ে কেন্দ্রের বক্তব্য জানতে চেয়ে নোটিশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। সোমবার বিচারপতি বিআর গাভাই এবং বিচারপতি অগাস্টিন জর্জ মাসিহের বেঞ্চ সফটওয়্যার ফ্রিডম ল সেন্টারের দায়ের করা এক আবেদনের শুনানিতে এই নোটিশ দিয়েছে।
সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারীদের পোস্ট সরিয়ে ফেলার আগে তাঁদের মতামত জানানো উচিত কি না, এই সংক্রান্ত এক মামলার শুনানি চলছিল সুপ্রিম কোর্টে। মামলাকারীর অভিযোগ, এক্স-এর মতো সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলো প্রায়ই অ্যাকাউন্ট মালিকদের কিছু না জানিয়েই সরকারি নির্দেশে বিভিন্ন পোস্ট মুছে ফেলে। বিষয়টি বাকস্বাধীনতার অধিকারের পরিপন্থী বলে যুক্তি দেন আবেদনকারীর পক্ষের আইনজীবী ইন্দিরা জয়সিং।
তিনি আদালতে বলেন, "কোনো পোস্ট মুছে ফেলার আগে ব্যবহারকারীকে নোটিশ না দেওয়া ন্যায়বিচারের পরিপন্থী। প্রচলিত আইন অনুযায়ী ব্যক্তি বা মধ্যস্থতাকারী - উভয়কেই নোটিশ দেওয়া উচিত। আর সরকার এই আইনের সাহায্য নিয়ে ব্যক্তিকে না জানিয়ে সংস্থাকে জানায়। যা সঠিক নয়"।
প্রাথমিক ভাবে দুই বিচারপতিই এ বিষয়ে একমত হয়েছেন। সুপ্রিম কোর্ট এই যুক্তিকে সমর্থন করে জানায়, "যদি কোনো ব্যক্তির পোস্ট আপত্তিকর হয় তাহলে পোস্ট মুছে ফেলার আগে তাঁকে নোটিশ দিতে হবে। যদি তাঁকে চিহ্নিত করা না যায়, তাহলে মধ্যস্থতাকারীকেই নোটিশ দিতে হবে"।
আইনজীবী জয়সিং উদাহরণ হিসেবে সিনিয়র আইনজীবী সঞ্জয় হেগড়ের এক্স অ্যাকাউন্টের কথা উল্লেখ করেন। যা কোনো নোটিশ ছাড়াই বছরের পর বছর ধরে বন্ধ করে রাখা হয়েছে।
আদালতের পর্যবেক্ষণ, সোশ্যাল মিডিয়া থেকে পোস্ট মুছে দেওয়ার আগে ব্যবহারকারীদের মতামত জানানো গণতান্ত্রিক নীতির অংশ হওয়া উচিত। কেন্দ্রকে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে। মামলার পরবর্তী শুনানির দিন এখনও জানানো হয়নি।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন