ছবি প্রতীকী
ছবি প্রতীকীছবি - সংগৃহীত

Sanchar Saathi: মোবাইলে নজরদারির জন্য 'সঞ্চার সাথী'! বিরোধীদের অভিযোগের উত্তরে কী জানালেন মন্ত্রী?

People's Reporter: DoT-এর নির্দেশের পরে বিতর্ক শুরু হয়। বিরোধীদের দাবি, এই অ্যাপ ব্যক্তি স্বাধীনতার পরিপন্থী। কার্যত নাগরিকদের মোবাইলে নজরদারি চালাতে সরকারে এই পদক্ষেপ। যা অস্বীকার করেছে কেন্দ্র।
Published on

'সঞ্চার সাথী' অ্যাপ নিয়ে অবশেষে মুখ খুললো কেন্দ্রীয় সরকার। এই অ্যাপ বাধ্যতামূলক নয় বলেই জানালেন কেন্দ্রীয় যোগাযোগ মন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া। প্রয়োজনে মোবাইল থেকে ডিলিট করে দেওয়া যাবে ওই অ্যাপ। যদিও বিরোধীরা এখনও সরব সঞ্চার সাথী অ্যাপ নিয়ে।

সাইবার প্রতারণা রুখতে নয়া পদক্ষেপের কথা জানিয়েছিল কেন্দ্র। যেখানে বলা হয়েছিল প্রত্যেক নতুন মোবাইলে ভারত সরকারের 'সঞ্চার সাথী' অ্যাপ আগে থেকেই ইনস্টল করা থাকবে। আগামী ২৮ নভেম্বর থেকে তৈরি হওয়া সব মোবাইলের ক্ষেত্রে এই নির্দেশ জারি করেছিল কেন্দ্র।

টেলি যোগাযোগ বিভাগের (Department of Telecommunications - DoT) নির্দেশিকায় বলা হয়, ২৮ নভেম্বর থেকে শুরু করে ৯০ দিনের মধ্যে, ভারতে বিক্রির জন্য তৈরি বা আমদানি করা সমস্ত মোবাইল হ্যান্ডসেটে সরকারের সাইবার নিরাপত্তা অ্যাপ্লিকেশন, সঞ্চার সাথী, প্রি-ইন্সটল করা আছে কিনা তা নিশ্চিত করতে হবে/

টেলিযোগাযোগ বিভাগের এই নির্দেশের পরেই তা নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়। বিরোধীদের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, এই অ্যাপ ব্যক্তি স্বাধীনতার পরিপন্থী। কার্যত নাগরিকদের মোবাইলে নজরদারি চালানোর জন্য সরকার এই পদক্ষেপ নিয়েছে।

কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক কে সি বেণুগোপাল কেন্দ্রের নির্দেশিকার বিরোধিতা করে বলেন, "বিগ ব্রাদার আমাদের উপরে নজরদারি করতে পারেন না। টেলিযোগাযোগ দফতরের এই নির্দেশিকা অসাংবিধানিক। গোপনীয়তার অধিকার সংবিধানের ২১ অনুচ্ছেদের অন্তর্ভুক্ত জীবন ও স্বাধীনতার মৌলিক অধিকারের একটি অন্তর্নিহিত অংশ।" "এটি ভারতীয় নাগরিকদের সাংবিধানিক অধিকারের উপর দীর্ঘ ধারাবাহিক আক্রমণের অংশ এবং আর এরকম চলতে দেওয়া হবে না। আমরা এই নির্দেশ প্রত্যাখ্যান করছি এবং অবিলম্বে তা প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছি।"

সঞ্চার সাথী অ্যাপ-এর বিষয়ে কংগ্রেসের রাজ্যসভা সাংসদ রেণুকা চৌধুরী রাজ্যসভায় বলেন, "এরকম বহু বিষয় আছে যার মাধ্যমে মোদী সরকার গণতন্ত্রকে ব্যাহত করছে এবং সঞ্চার সাথী অ্যাপটি SIR-এর মতোই নাগরিকদের অধিকার খর্ব করার আরও একটি হাতিয়ার।"

কংগ্রেস সাংসদ প্রিয়াঙ্কা গান্ধী বঢরা সংসদের বাইরে সাংবাদিকদের বলেন, "সঞ্চার সাথী একটি গুপ্তচরবৃত্তির অ্যাপ, এবং স্পষ্টতই এটি হাস্যকর। নাগরিকদের গোপনীয়তার অধিকার আছে। সরকার সবকিছু না দেখে পরিবার এবং বন্ধুদের কাছে বার্তা পাঠানোর জন্য প্রত্যেকেরই গোপনীয়তার অধিকার থাকা উচিত।"

তিনি আরও বলেন, "এটা কেবল ফোনে গুপ্তচরবৃত্তি নয়। এরা এই দেশকে একনায়কতন্ত্রে পরিণত করছে। সংসদ কাজ করছে না কারণ সরকার কোনও বিষয়ে আলোচনা করতে চাইছে না। বিরোধী দলকে দোষ দেওয়া খুব সহজ। কিন্তু সরকার কোনও বিষয়ে আলোচনার অনুমতি দিচ্ছে না এবং একে গণতন্ত্র বলেনা। সুস্থ গণতন্ত্র আলোচনার দাবি করে এবং প্রত্যেকেরই ভিন্ন ভিন্ন মতামত থাকে, সেই কথা শোনা উচিত।"

যদিও বিরোধিদের সমস্ত অভিযোগ খারিজ করেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া। সাংবাদিকদের সামনে তিনি বলেন, "এটি (সঞ্চার সাথী) অ্যাক্টিভ করবেন না। যদি আপনি এই অ্যাপ আপনার ফোনে রাখতে চান, তাহলে এটি রাখুন। যদি আপনি এটি মুছে ফেলতে চান, তাহলে তা করুন। উদাহরণস্বরূপ, যখন আপনি একটি ফোন কিনবেন, তখন অনেক অ্যাপ আগে থেকে ইনস্টল করা থাকে। গুগল ম্যাপও আসে। এখন, যদি আপনি গুগল ম্যাপ ব্যবহার করতে না চান, তাহলে এটি মুছে ফেলুন"।

তিনি আরও বলেন, "এটি গ্রাহক সুরক্ষার বিষয়। বাধ্যতামূলক কিছু নেই। যদি আপনি এটি ব্যবহার করতে না চান, তাহলে করবেন না। এটি অ্যাক্টিভ থাকবে না। যদি আপনি এটি মুছে ফেলতে চান, তাহলে এটি মুছে ফেলুন। কিন্তু দেশের প্রতিটি মানুষ জানে না যে তাঁকে জালিয়াতি থেকে রক্ষা করার জন্য একটি অ্যাপ আছে। তাই এই তথ্য ছড়িয়ে দেওয়া আমাদের দায়িত্ব।"

ছবি প্রতীকী
পাঁচ বছরে ২ লাখের বেশি বেসরকারি সংস্থা বন্ধ, পুনর্বাসন নিয়ে নেই কোনও প্রস্তাব, সংসদে জানাল কেন্দ্র
ছবি প্রতীকী
SIR: আসামে এসআইআর নয় কেন? নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে মামলা সুপ্রিম কোর্টে!

SUPPORT PEOPLE'S REPORTER

ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in