

দ্বিতীয় পর্যায়ে ভোটমুখী ১২ রাজ্যে এসআইআর হলেও আসামকে এই তালিকার বাইরে রেখেছে নির্বাচন কমিশন। অথচ আসামেও আগামী বছর নির্বাচন রয়েছে। কমিশনের এই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে মামলা দায়ের হল সুপ্রিম কোর্টে।
মামলাকারী গুয়াহাটি হাইকোর্টের বার অ্যাসোসিয়েশনের প্রাক্তন সভাপতি মৃণালকুমার চৌধুরী। তিনি কমিশনের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে মামলা করেছেন। আসামের প্রাক্তন রাজ্যপাল লেফটেন্যান্ট জেনারেল এসকে সিনহার প্রতিবেদন এবং প্রাক্তন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ইন্দ্রজিৎ গুপ্তের বক্তব্যের উপর নির্ভর করে এই মামলা দায়ের করা হয়েছে, যেখানে ১৯৯৭ সাল পর্যন্ত আসামে ৪০ থেকে ৫০ লক্ষ অবৈধ অভিবাসী বসবাস করছিলেন বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
মামলাকারীর বক্তব্য, আসামে বর্তমানে লক্ষ লক্ষ অবৈধ অভিবাসী বসবাস করছেন এবং তাঁদের নাম বর্তমান ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। বিশেষ নিবিড় সংশোধন (এসআইআর) না করা হলে, আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে এই ব্যক্তিরা ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন, যা রাজ্যের সামাজিক-রাজনৈতিক কাঠামোর উপর ব্যাপক প্রভাব ফেলবে এবং জনসংখ্যার ভারসাম্যহীনতা তৈরি করবে।
মামলাকারী নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত বাতিল করে অন্যান্য রাজ্যের মতো আসামেও এসআইআর চালু করার আবেদন জানিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, গত ২৭ অক্টোবর ১২ রাজ্যে এসআইআর চালুর ঘোষণা করেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমার। পশ্চিমবঙ্গ, কেরালা, গোয়া, রাজস্থান, ছত্তিশগড়, মধ্যপ্রদেশ, গুজরাট, তামিলনাড়ু, পুদুচেরি, আন্দামান ও নিকোবর এবং লাক্ষাদ্বীপ এই তালিকায় থাকলেও নাম ছিল না আসামের। যা নিয়ে সরব হয়েছিলেন বিরোধীরা। কেন আসামকে বাদ দেওয়া হল প্রশ্ন তুলেছিলেন একাধিক বিরোধী নেতা-নেত্রীরা।
জ্ঞানেশ কুমার অবশ্য জানিয়েছিলেন, 'আসামের জন্য আলাদা নাগরিকত্ব আইন রয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের তত্ত্বাবধানে অসমে নাগরিকত্বের যাচাইকরণ প্রক্রিয়া প্রায় শেষ পর্যায়ে। তাছাড়া গোটা দেশের জন্য এসআইআর সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি ২৪ জুন প্রকাশ করা হয়। সেই কারণে তা আসামে প্রযোজ্য নয়। আসামের জন্য পৃথকভাবে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হবে'।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন