Karnataka: 'আমাদের মধ্যে কোনও মতপার্থক্য নেই' - দূরত্ব সরিয়ে সিদ্দারামাইয়ার সাথে প্রাতরাশে শিবকুমার!
এক টেবিলে কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া এবং উপমুখ্যমন্ত্রী ডিকে শিবকুমার। কংগ্রেসের দুই হেভিওয়েট নেতার একসাথে ছবি প্রকাশ্যে আসতেই নতুন জল্পনা তৈরি হয়েছে। রাজনৈতিক মহলে প্রশ্ন উঠছে তাহলে কি সিদ্দারামাইয়া এবং শিবকুমারের মধ্যে 'ঠান্ডা লড়াই' শেষ? নাকি দলের অন্দরে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব ঠেকাতে দু'জনকে এক টেবিলে বসতে বলা হয়েছে?
শনিবার উপমা, ইডলি সহ নানানরকম পদ ভর্তি থালা এবং সিদ্দারামাইয়া ও শিবকুমারের ছবি সমাজমাধ্যমে ভাইরাল হয়। সিদ্দারামাইয়া জানান, "শিবকুমার তাঁকে মধ্যাহ্নভোজের জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। তবে হাইকমান্ডের ফোনের পর আমি শিবকুমারকে প্রাতরাশের আমন্ত্রণ জানাই। তাঁর সাথে একাধিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করার জন্য এই সিদ্ধান্ত।"
শিবকুমার জানান, "আমরা আলোচনা করতে বসেছিলাম। আমাদের লক্ষ্য কর্পোরেশন, গ্রাম পঞ্চায়েত এবং ২০২৮ সালের নির্বাচনে জয়লাভ করা। আমরা দু'জনই বিধানসভা নির্বাচনে কাজ করেছি। একইভাবে, আমরা ২০২৮ সালের নির্বাচন একসাথে লড়তে চাই। আমাদের মধ্যে কোনও মতপার্থক্য নেই। আজ পর্যন্ত কোনও মতপার্থক্য ছিল না এবং ভবিষ্যতেও কোনও মতপার্থক্য থাকবে না।"
এক্স মাধ্যমে শিবকুমার লেখেন, "আগামী কয়েকদিনের মধ্যে মুখ্যমন্ত্রীও আমার বাড়িতে দুপুরের খাবার বা রাতের খাবার খেতে আসবেন। আমাদের জনগণকে দেওয়া প্রতিটি প্রতিশ্রুতি পূরণ করা আমাদের দায়িত্ব। আমরা আপনাদের সমর্থন পাওয়ায় নিজেদের ভাগ্যবান মনে করছি এবং আমরা সুশাসনের উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে এই সরকার গঠন করছি। কর্ণাটকের জনগণের জন্য কাজ করতে আমরা অঙ্গীকারবদ্ধ।"
সূত্রের খবর, দুই নেতা ঐক্যবদ্ধ থাকলেও ক্ষমতার হস্তান্তর হতে সম্ভবত আরও সময় লাগবে। সিদ্দারামাইয়ার পরিবর্তে শিবকুমারকে মুখ্যমন্ত্রী করা হতে পারে। আবার অনেকে মনে করছেন মন্ত্রিসভায় শিবকুমার ঘনিষ্ঠদের বেশি সুযোগ দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে থাকবেন সিদ্দারামাইয়াই। এই বর্ষীয়ান নেতাকে সরালে কংগ্রেসের ক্ষতি হতে পারে।
বেশ কিছুদিন ধরে কর্ণাটকের রাজনীতিতে মুখ্যমন্ত্রী বদলের জল্পন চলছিল। শিবকুমার শিবিরের বিধায়কদের দাবি ছিল সিদ্দারামাইয়া মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে ২.৫ বছর পূরণ করেছেন। বাকি সময়ের জন্য শিবকুমারকে মুখ্যমন্ত্রী করা হোক। এই বিষয়ে কংগ্রেস হাইকমান্ডের সাথে বৈঠক করার জন্য দিল্লিও যান শিবকুমার ঘনিষ্ঠ কংগ্রেস নেতারা। তবে শিবকুমার জানিয়েছিলেন, তিনি শীর্ষে নেতৃত্বের নির্দেশ পালন করেই দল করবেন।
SUPPORT PEOPLE'S REPORTER
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন
