ভোটার তালিকার নিবিড় সংশোধন (SIR)-র কাজে অতিরিক্ত চাপের অভিযোগ তুলে সরকারি চাকরি থেকে ইস্তফা দিলেন উত্তরপ্রদেশের এক মহিলা বুথ লেভেল অফিসার (BLO)। শিক্ষকতা এবং এসআইআরের কাজ একসাথে করতে পারছিলেন না বলে জানিয়েছেন ওই শিক্ষিকা।
ঘটনাটি নয়ডার। সেক্টর ৯৪-তে গিজা হায়ার প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষিকা হিসেবে কর্মরত ছিলেন পিঙ্কি সিং। পাশাপাশি সেক্টর ৩৩-র রকউড স্কুলের ২০৬ নম্বর বুথের বুথ লেভেল অফিসার (BLO) হিসেবেও নিযুক্ত ছিলেন। তাঁর অধীনে ছিল প্রায় ১২০০ ভোটার। তিনি কাজের চাপ সামলাতে পারছিলেন না বলেই দাবি করেছেন। এক নির্বাচনী আধিকারিককে চিঠি লিখে তিনি নিজের অবস্থান স্পষ্ট করেন।
ওই প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা বলেছেন, তিনি ১,১৭৯ জন ভোটারের মধ্যে ২১৫ জনের ফর্ম 'ডিজিটাইজ' করেছেন। কিন্তু বাকি কাজ "চালিয়ে যাওয়ার মতো অবস্থায় নেই" তিনি। তাঁর পরিবর্তে অন্য একজনের জন্য আবেদন করেছেন।
কমিশনকে লেখা চিঠিতে শিক্ষিকা জানান, "আমি আমার চাকরি থেকে ইস্তফা দিচ্ছি। আমি আর এই কাজ করতে পারব না। আমি শিক্ষাদান বা বিএলও-এর কাজ করতে পারব না। দয়া করে আমাকে জানান আমি কাকে নির্বাচনী উপকরণ হস্তান্তর করতে পারি।" তাঁর এই চিঠি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে।
সম্প্রতি উত্তরপ্রদেশে এসআইআর-র কাজে গাফিলতির অভিযোগে ৬০ জন বিএলও-র বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। ইআরও আশুতোষ গুপ্তা সর্বভারতীয় এক সংবাদ মাধ্যমে জানান, "৬২-দাদরি নির্বাচনী এলাকায় বিশেষ নিবিড় সংশোধন কর্মসূচির সময় অবহেলা, উদাসীনতা এবং ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নির্দেশ অমান্য করার জন্য বিএলও-দের বিরুদ্ধে FIR দায়ের করা হয়েছে"। এই ঘটনার পরই নিজের পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন পিঙ্কি সিং।
শুধু উত্তরপ্রদেশ নয় যে সব রাজ্যে এসআইআর-র কাজ শুরু হয়েছে প্রায় সব রাজ্য থেকেই বিএলও-দের একাংশ অতিরিক্ত কাজের চাপের অভিযোগ করছেন। কাজের চাপে অনেক বিএলও-র মৃত্যু পর্যন্ত হয়েছে বলে অভিযোগ উঠছে।
উল্লেখ্য, নির্বাচন কমিশনের তথ্যানুযায়ী উত্তরপ্রদেশে ৯৯.৬০% এনুমারেশন ফর্ম বিলি করা হয়েছে। ১৯.০২% ফর্ম ডিজিটাইজড হয়েছে এখনও পর্যন্ত। মোট ১ লক্ষ ৬২ হাজার ৪৮৬ জন বিএলও কাজ করছেন। ১৯ নভেম্বর পর্যন্ত ৩ লক্ষ ৮৫ হাজার ৭৯৯জন বিএলএ রয়েছেন।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন