

গত পাঁচ বছরে ভারতে দুই লক্ষেরও বেশি বেসরকারি কোম্পানি বন্ধ হয়ে গেছে। সোমবার সংসদে লিখিতভাবে একথা জানিয়েছে কেন্দ্র সরকার।
সোমবার থেকে সংসদে শুরু হয়েছে শীতকালীন অধিবেশন। সেখানেই জানতে চাওয়া হয় গত পাঁচ বচরে কতগুল বেসরকারি কোম্পানিতে তালা ঝুলেছে।
এর উত্তরে লিখিতভাবে কেন্দ্রীয় কর্পোরেট বিষয়ক মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী হর্ষ মলহোত্র জানান, ২০২০-২১ থেকে ২০২৪-২৫ সালের মধ্যে অর্থাৎ গত পাঁচ বছরে মোট ২,০৪,২৬৮টি বেসরকারি কোম্পানি বন্ধ হয়ে গেছে। ২০১৩ সালের কোম্পানি আইনের অধীনে একত্রীকরণ, রূপান্তর, বিলুপ্তি ইত্যাদি কারণে এতগুলো বেসরকারি কোম্পানি বন্ধ হয়েছে।
এই বন্ধ কোম্পানিগুলির কর্মচারীদের পুনর্বাসন নিয়ে সরকার কোনও সিদ্ধান্ত নিয়েছে কি না, তাও জানতে চাওয়া হয় কেন্দ্রের কাছে। সংবাদসংস্থা পিটিআই-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, এর উত্তরে মন্ত্রী জানান, এখনও সরকারের সামনে এই বিষয়ে কোনও প্রস্তাব নেই।
কোন বছর কতগুলো কোম্পানি বন্ধ হয়েছে তার তথ্য তুলে ধরেছে কেন্দ্র। রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০২০-২১ অর্থবর্ষে দেশে বন্ধ হয়েছে ১৫,২১৬টি সংস্থা। তার পরের অর্থবর্ষে বন্ধ হয়েছে ৬৪,০৫৪টি। সবথেকে বেশি বন্ধ হয়েছে ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে, ৮৩,৪৫২টি সংস্থা। ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে বন্ধ হয়েছে ২১,১৮১টি সংস্থা। গত অর্থবর্ষে (২০২৪-২৫ সালে) বন্ধ হয়েছে ২০,৩৬৫টি সংস্থা।
২০২০-২১ থেকে ২০২৪-২৫ সালের মধ্যে ১,৮৫,৩৫০টি কোম্পানিকে সরকারি রেকর্ড থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে বাদ দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে এই অর্থবছরের ১৬ জুলাই পর্যন্ত ৮,৬৪৮টি প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। দীর্ঘ সময় ধরে স্বেচ্ছায় নিষ্ক্রিয় থাকলে কোম্পানিগুলিকে রেকর্ড থেকে বাদ দিতে পারে সরকার।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন