

নিরাপত্তারক্ষী অজ্ঞান হয়ে মাটিতে পড়ে যাওয়ার পরও বক্তৃতা থামালেন না কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী তথা বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা! সোমবার সোশ্যাল মিডিয়ায় এক ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। যেখানে এমনই দৃশ্য দেখা গেছে (ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি পিপলস রিপোর্টার)। এই ঘটনায় জেপি নাড্ডার তীব্র সমালোচনা করেছে কংগ্রেস এবং তৃণমূল।
জানা গেছে, ঘটনাটি গুজরাটের বডোদরায় ঘটেছে। শনিবার বডোদরার আটলাদ্রা গ্রামে বল্লভভাই পটেলের সার্ধশতবর্ষ উপলক্ষে আয়োজিত 'সর্দার@১৫০ ইউনিটি মার্চ'-র উদ্বোধনে উপস্থিত ছিলেন নাড্ডা। সেখানে বক্তৃতা দিচ্ছিলেন তিনি। ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, নাড্ডার বক্তৃতা চলাকালীন মঞ্চের সামনেই এক নিরাপত্তাকর্মী অজ্ঞান হয়ে পড়ে রয়েছেন। অন্য দু'জন নিরাপত্তাকর্মী তাঁকে তুলে ধরার চেষ্টা করছেন। অন্যদিকে বক্তৃতা দিয়ে যাচ্ছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি।
মঞ্চে বিজেপির অন্যান্য নেতারাও উপস্থিত ছিলেন। তাঁরাও কেউ অজ্ঞান হয়ে পড়া নিরাপত্তাকর্মীর কাছে এগিয়ে আসেননি।
এই ভিডিওকে হাতিয়ার করে বিজেপিকে আক্রমণ শানিয়েছে কংগ্রেস। কংগ্রেস এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছে, "বিজেপি মানবতা বিক্রি করে খেয়ে নিয়েছে।"
যুব কংগ্রেসের এক্স হ্যান্ডেলে লেখা হয়, "গুজরাটে একটি অনুষ্ঠানে বিজেপি সভাপতি জেপি নাড্ডার বক্তৃতার সময় এক নিরাপত্তা কর্মী অজ্ঞান হয়ে পড়ে যান। কিন্তু জেপি নাড্ডা তাঁর বক্তৃতা থামাননি। মঞ্চে বসে থাকা অন্যান্য বিজেপি নেতারাও সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসেননি। একবার ভেবে দেখুন, যদি বিজেপি নেতারা তাদের সামনেই এক ব্যক্তির অসুস্থ হয়ে যাওয়ার বিষয়ে চিন্তা না করেন, তাহলে তাঁরা আপনার মুদ্রাস্ফীতি, বেকারত্ব, কৃষক সংকট এবং প্রতিদিনের সংগ্রামের বিষয়ে কীভাবে চিন্তা করবেন? এটাই বিজেপির বাস্তবতা: ক্ষমতাই সবকিছু। সাধারণ মানুষের কষ্টের কোনও মূল্য নেই ওঁদের কাছে।"
বিজেপিকে কটাক্ষ করেছে তৃণমূলও। দলের তরফে ভিডিও পোস্ট করে লেখা হয়, "অমানবিকতার বিরল নজির স্থাপন বিজেপির! মানুষের বাঁচা, মরা, অসুস্থতা- কোনও কিছুতেই বিন্দুমাত্র সহানুভূতি নেই বিজেপি নেতাদের, শুধুই ভোটের আগে লোক দেখানো নাটক করতেই ব্যস্ত। ধিক্কার জানানোর ভাষা নেই।”
জানা গেছে, অজ্ঞান হয়ে যাওয়া নিরাপত্তাকর্মী বর্তমানে সুস্থ আছেন। তিনি জেপি নাড্ডার নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা এক কমান্ডো।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন