

প্রতিদিন সন্ধ্যে ৭টা থেকে রাত ৯টা। গ্রামে চলবেনা কোনও টিভি, বন্ধ রাখা হবে মোবাইল ফোন, ল্যাপটপ, ট্যাবলেট। গ্রামের মানুষের উদ্যোগে এই দু’ঘণ্টা গ্রামে ‘ডিজিটাল ডিটক্স’ (Digital Detox) করা হবে। এই দু’ঘণ্টা সময়ে গ্রামের সবাই জ্ঞানচর্চা করবে। নিজেদের মধ্যে আলাপচারিতা চালাবে। তাই বন্ধ রাখা হবে গ্রামের সকলের মোবাইল ফোন, টিভি, ল্যাপটপ, ট্যাবলেট। কর্ণাটকের বেলাগাভি (Belagavi) শহরের নিকটবর্তী হালাগা (Halaga) গ্রামে এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।
কর্ণাটকের আগে এই একই অভ্যাস চালু করা হয়েছে মহারাষ্ট্রের সাংলির নিকটবর্তী আগরান ধূলাগাঁওতে (Agran Dhulagaon)। এই গ্রামে ডিজিটাল ডিটক্স কর্মসূচিতে উদ্বুদ্ধ হয়ে পার্শ্ববর্তী সাংলির মহিতাঞ্চে এবং কোলাপুরের মানগাঁও গ্রামের একই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। যা দেখে উৎসাহিত হয়েছেন কর্ণাটকের এই গ্রামবাসীরা। এই কাজে পূর্ণ সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে স্থানীয় পঞ্চায়েত এবং পঞ্চায়েত সদস্যরা এবং স্থানীয় শিক্ষকরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে এই বিষয়ে প্রচার করবেন। সমস্ত পরিবারের অভিভাবকদের কাছে তাঁরা এই বিষয়ে আবেদন জানাবেন।
গত ১৭ ডিসেম্বর থেকে গ্রামে এই কর্মসূচি শুরু হয়েছে। এখনও পর্যন্ত অধিকাংশ গ্রামের মানুষ প্রতিদিন আংশিকভাবে এই নিয়ম মেনে চলছেন। বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া তাঁরা ওই সময় মোবাইল চালাচ্ছেন না বা টিভি খুলছেন না। মূলত শিক্ষায় জোর দেওয়া, নিজেদের মধ্যে কথোপকথন বাড়াতে এই উদ্যোগ নিয়েছে গ্রাম পঞ্চায়েত। আগামী দিনে প্রতিদিন সন্ধ্যে ৭টার সময় সাইরেন বাজিয়ে গ্রামবাসীদের সজাগ করা হবে। একইভাবে রাত ৯টায় আবার সাইরেন বাজানো হবে।
হালাগা গ্রামে মোট ১২ হাজার মানুষের বাস। বেলাগাভী শহর থেকে প্রায় ১৪ কিলোমিটার দূরে সুবর্ণ বিধান সৌধর নিকটবর্তী এলাকায় এই গ্রাম অবস্থিত। উত্তর কান্নাডা লোকসভা কেন্দ্রের অধীন খানাপুর বিধানসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত। গ্রামের পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, গ্রামের মানুষ সর্বসম্মতভাবে এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন।
স্থানীয় পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, অধিকাংশ বাড়িতেই খুব বেশি জায়গা নেই। সন্ধ্যে ৭টা থেকে ৯টা প্রাইম টাইমে টিভি চলার কারণে শিশুদের পড়াশুনোর অসুবিধে হয়। ডিজিটাল ডিটক্স কর্মসূচীর ফলে শিশুরা পড়ায় মনোনিবেশ করতে পারবে।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন