
• ফেক নিউজের প্রচার আটকাতে তৎপর কর্ণাটকের কংগ্রেস সরকার।
• ফেক নিউজ আটকাতে নতুন আইন আনতে উদ্যোগী হয়েছে সিদ্দারামাইয়া সরকার।
• এই আইনের খসড়া অনুসারে ফেক নিউজ ছড়ালে সাত বছরের জেল এবং ১০ লক্ষ টাকা জরিমানা হতে পারে।
ফেক নিউজ বা ভুয়ো খবরের বিরুদ্ধে এবার কোমর বেঁধে নামতে চলেছে কর্ণাটকের কংগ্রেস সরকার। এই বিষয়ে আইন প্রণয়নে উদ্যোগী হয়েছে রাজ্যের সিদ্দারামাইয়া সরকার। যে আইনের প্রস্তাবে বলা হয়েছে, সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারীরা ভুয়ো খবর বা ফেক নিউজ ছড়ালে এবং দোষী প্রমাণিত হলে সাত বছরের জেল এবং ১০ লক্ষ টাকা জরিমানা হতে পারে।
প্রস্তাবিত এই আইন পাস হয়ে গেলে কর্ণাটক সরকার সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে ফেক নিউজ সম্পূর্ণ বন্ধ করতে পারবে বলেই বিশ্বাস সিদ্দারামাইয়া সরকারের। প্রস্তাবিত এই আইনের নাম দেওয়া হচ্ছে দ্য কর্ণাটক মিসইনফরমেশন অ্যান্ড ফেক নিউজ (প্রোহিবিশান) অ্যাক্ট (The Karnataka Misinformation and Fake News (Prohibition) Act)। চলতি সপ্তাহেই রাজ্য মন্ত্রীসভার সামনে এই আইন বিষয়ক প্রস্তাব পেশ করা হয়েছে।
প্রস্তাবিত এই আইনের ক্ষেত্রে ছয় সদস্যের এক কমিটি গঠন করা হচ্ছে। যার নাম দেওয়া হচ্ছে ফেক নিউজ অন সোশ্যাল মিডিয়া রেগুলেটরি অথরিটি। এই কমিটির মূল দায়িত্বে থাকবেন রাজ্যের সংস্কৃতি মন্ত্রী। এছাড়াও প্রস্তাবিত এই আইনে বলা হয়েছে এর জন্য স্পেশাল কোর্ট তৈরি করা হবে। যাতে দ্রুত এই বিষয়ক অভিযোগের নিষ্পত্তি করা যায়। এই বিশেষ আদালতকে কিছু বিশেষ ক্ষমতা দেবার কথাও জানানো হয়েছে। যার মধ্যে আছে, বিচার প্রক্রিয়া চলাকালীন মধ্যস্থতাকারী এবং সংবাদমাধ্যমকে (প্রচারক ও সম্প্রচারক) নির্দেশ দেবার ক্ষমতা থাকবে।
আইনের প্রস্তাবনায় বলা হয়েছে, একটি ছোটো ফেক নিউজ বা ভুয়ো খবরের কারণে স্থানীয় ভাবে বা দেশে অনেক বড়ো গণ্ডগোল সৃষ্টি হতে পারে। যা আটকানোই এই আইনের মূল উদ্দেশ্য।
কর্ণাটক রাজ্যের বাইরে বা ভেতরের যে কোনও মানুষ এই আইনের আওতায় থাকবেন। যে কেউ যদি জনস্বাস্থ্য, জননিরাপত্তা বিষয়ক ভুল তথ্য পৌঁছে দেয় সেক্ষেত্রে তার দুই থেকে পাঁচ বছরের কারাদন্ড হতে পারে। এছাড়াও ভুল তথ্য দেবার জন্য প্ররোচিত করা হলে দু বছরের কারাদন্ড হতে পারে।
খসড়া আইনে ভুয়ো তথ্যকে যেভাবে সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে তা হল – “যে কোনো ভুল বা বিভ্রান্তিকর তথ্য ইচ্ছাকৃতভাবে বা অবহেলায় প্রকাশ করা — তা আংশিক হোক বা সম্পূর্ণ — যদি তা প্রাসঙ্গিক পরিস্থিতিতে একটি বাস্তব তথ্য বিবৃতি হিসেবে উপস্থাপিত হয়, তবে সেটি ভুয়ো তথ্য হিসেবে গণ্য হবে। যদিও মতামত, ধর্মীয় বা দার্শনিক উপদেশ, ব্যঙ্গ বা পরিহাস এবং অন্যান্য যে কোনো শিল্প-ভিত্তিক প্রকাশ—যা একজন সাধারণ বুদ্ধিসম্পন্ন ব্যক্তি বাস্তব তথ্য হিসেবে গ্রহণ করবেন না—তা এই সংজ্ঞার বাইরে থাকবে।”
Keywords: Karnataka fake news law, Karnataka misinformation crackdown, fake news regulation Karnataka, proposed law against fake news, Karnataka digital media law, anti-fake news policy Karnataka, Karnataka government misinformation action, fake news punishment Karnataka, Karnataka online misinformation law, digital media regulation India
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন